সিলেট ও মৌলভীবাজারে র্যাব ও পিবিআই হেফাজতে দুই আসামির মৃত্যু হয়েছে। তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশের এই দুই ইউনিট।
সিলেটে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে র্যাবের হেফাজতে এক আসামির মৃত্যু হয়। র্যাবের দাবি, ওই আসামি কম্বল পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
মারা যাওয়া আসামির নাম তানভীর চৌধুরী। তার বাড়ি গাজীপুরে। তিনি নওগাঁ জেলার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। শনিবার সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-৯।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।
তিনি জানান, তানভীর চৌধুরী রোববার সকালের দিকে আত্মহত্যা করেন। আমাদের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তাকে গায়ে জড়ানোর জন্য যে কম্বল দেওয়া হয়েছে, সেই কম্বল গলায় পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। রোববারই নিহতের স্বজন, পুলিশ, চিকিৎসক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে তার স্বজনরা মরদেহ নিয়ে গেছেন।
অপরদিকে মৌলভীবাজারের পিবিআই হাজতখানা থেকে মো. মকদ্দোছ মিয়া (৩৫) নামে এক আসামির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মৌলভীবাজার শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত পিবিআই কার্যালয়ের হাজতখানায় লুঙ্গির সাহায্যে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায় পুলিশ। তিনি কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউশার ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, কমলগঞ্জের নন্দগ্রামের লিটন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মকদ্দোছ মিয়া স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ করেন। তদন্তের জন্য তাকে থানা থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হাজতে রাখা হয়। রাতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে হাজতখানায় রাখা হয়। ভোরে হাজতখানায় লুঙ্গির সাহায্যে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায় পুলিশ। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মৌলভীবাজার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মো. জাফর হোসেন ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি মকদ্দোছ মিয়া নন্দগ্রামের লিটন হত্যা মামলায় অজ্ঞাত আসামি ছিলেন। অভিযুক্ত এক আসামি তার নাম জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করলে তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
জেএএইচ/নাঈম/জামিল/এফএ/জেআইএম