শাপলা প্রতীক না থাকায় নিবন্ধন পেলেও জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি শাপলা প্রতীক পাবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ। শাপলা ছাড়াই প্রতীক তালিকার চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে।
তিনি বলেন, নিবন্ধন পাওয়ার পর দলটির কাছ থেকে নতুন প্রতীক চাইতে হবে। নির্ধারিত তালিকা থেকেই প্রতীক নিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ কালে ইসি সচিব এ তথ্য জানান।
১১৫টি প্রতীক দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার প্রতীক তালিকা সংশোধনের জন্য আইন মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
ভেটিংসহ আচরণবিধি ও প্রতীক তালিকা অনুমোদন হয়েছে।
ইসি সচিব জানান, প্রতীকের নির্ধারিত তালিকায় শাপলা প্রতীক না থাকায় এনসিপিকে বিকল্প প্রতীকের প্রস্তাব পাঠাতে হবে।
নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি সচিব বলেন, ‘আমাদের ১১৫টি প্রতীকের তালিকায় শাপলা প্রতীক নেই। নিয়ম অনুযায়ী রাজনৈতিক দলকে নির্ধারিত তালিকার ভেতর থেকেই প্রতীক নিতে হয়। তাই এনসিপি চাইলে অন্য কোনো প্রতীক বেছে নিতে হবে।’
তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান আছে। নিবন্ধন–সংক্রান্ত নথিপত্র এখন পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে প্রতীক সংক্রান্ত সমন্বয় কার্যক্রম এরইমধ্যে এক ধাপ এগিয়েছে।
আরও পড়ুন:
নিবন্ধন দিতে ইসির ইতিবাচক সিদ্ধান্ত, শাপলা প্রতীকে অনড় এনসিপি ১৫০ আসন পাবে এনসিপি, বিএনপি পাবে ৫০-১০০টি: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীএনসিপি এরইমধ্যে শাপলা, সাদা শাপলা ও লাল শাপলা প্রতীক চেয়েছে।
সচিব বলেন, ‘এনসিপি প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছে। কিন্তু তালিকায় শাপলা প্রতীক না থাকায় আমরা তাদের জানিয়েছি বিকল্প প্রস্তাব পাঠাতে। নিষ্পত্তি হবে ইসি ও দলের সম্মতিতে।
এ ছাড়া তিনি জানান, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সুশীল সমাজ, শিক্ষক, নারী নেত্রী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। পূজা ও ছুটির দিন বিবেচনায় নিয়ে ধাপে ধাপে এসব আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে।
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমও এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে সচিব বলেন, প্রতিদিন নতুন খবর তৈরি করা যায় না। তবে আমরা নির্বাচনী প্রস্তুতির প্রতিটি ধাপে গণমাধ্যমকে নিয়মিত আপডেট দেওয়ার চেষ্টা করছি।
এমওএস/এসএনআর/জেআইএম