দেশজুড়ে

পিলার ভেঙে ঝুঁকিতে সেতু, আতঙ্কে ১০ হাজার মানুষ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী ও চরহাজারী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চলাচলের ছত্তরিয়া খালের একমাত্র সেতুটির পিলার ভেঙে গেছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সেতুটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চরপার্বতী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং চরহাজারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিনে সেতুটির খুঁটির পিলার ভেঙে এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তারপরও দুই পাড়ের অন্তত ১০ হাজার বাসিন্দা প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙা সেতুতে লোকজন নিয়ে চলাচল করছে ছোট ছোট যানবাহন। পায়ে হেঁটেও যাচ্ছেন অনেকে। তবে কখন সেতুটি ভেঙে পড়ে সেই আতঙ্ক সবার মাঝে। ভারী কোনো যানবাহন উঠলেই কেঁপে ওঠে সেতুটি।

স্থানীয় বাসিন্দা আতিক উল্যাহ জাগো নিউজকে বলেন, ‌‘দুই পাড়ে অন্তত ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও দুই ইউনিয়নের শত শত বাসিন্দা প্রতিদিন ভাঙা সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে বারবার বলা হলেও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না।’

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক মো. নূর করিম বলেন, ‘সেতুর পাশে এলে গা চমচম করে। যাত্রীদের নামিয়ে কোনোমতে পার হই। যে কোনো সময় এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা আছে। প্রশাসন যদি দ্রুত কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এলাকাবাসীর বড় বিপদ হতে পারে।’

রহমত উল্যাহ দিদার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দেন সেতুটির নতুন করে নির্মাণ করা হবে। ভোট শেষ হলে আর কারও খবর থাকে না। শিশু-শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যেতে হয় এই সেতু দিয়ে। এখানে সেতু নির্মাণ করা জরুরি।’

এ বিষয়ে চরপার্বতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী হানিফ আনসারী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি ছবি-ভিডিও করে সব দপ্তরে দেখিয়েছি। এখানে মানুষ অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। তবে দীর্ঘদিনেও কোনো ধরনের সুফল আনতে পারিনি। এখানে নতুন সেতু না হলে এলাকাবাসীর দুঃখের সীমা থাকবে না।’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর কবীর জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ওই স্থানে অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জেআইএম