শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গা উৎসব। উৎসব এলেই ঘর সাজানোর একটা ধুম পড়ে যায়। একেক উৎসবে একেক রকম করে ঘর সাজাতে পছন্দ করেন অনেকেই। তবে যাই করুন না কেন, এমনভাবে ঘর সাজিয়ে তুলুন যেন ঘরের প্রতিটি কোণায় পূজার আমেজ সৃষ্টি হয় ।
দুর্গাপূজা মানেই নানা রকম ফুল ও পাতা দিয়ে ঘর সাজানো। ঘরে পূজার আমেজ আনতে দরজার বাইরে গাঁদা ফুলের মালা লাগিয়ে দিতে পারেন। বসার ঘর, ডাইনিং টেবিলের ফুলদানিতে পদ্ম, রজনীগন্ধা, অর্কিড, ডালিয়া ও গোলাপ ফূল দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া কাঁসা কিংবা মাটির পাত্রে পানি ভরে শিউলি, গোলাপের পাপড়ি ভাসিয়ে দিলে দেখতে ভালো দেখাবে। ফুলের মিষ্টি গন্ধ ঘরে আনবে স্নিগ্ধ ও সজীবতা।
ঘর সাজাতে আলোপূজার দিনগুলোতে মঙ্গলপ্রদীপ ব্যবহার করতে পারেন। এটি ঘরকে আলোকিত করার পাশাপাশি মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এছাড়া ছোট ছোট প্রদীপ সিঁড়ির কোণা, সদর দরজা, জানালার কার্নিশ, ডাইনিং টেবিল বা সেন্টার টেবিলে রাখতে পারেন। দেখতে ভালো লাগবে। কৃত্রিম বাতি ব্যবহার করতে চাইলে অ্যাকসেন্ট লাইট ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাকসেন্ট লাইটিং নির্দিষ্ট কোনো একটি জিনিসকে হাইলাইট করে রাখবে। এছাড়া রংবেরঙের মরিচবাতি ব্যবহার করে ঘরে পূজার আমেজ তৈরি করতে পারেন। দরজার বাইরে লণ্ঠন ঝুলিয়ে দিলে কিংবা বড় ঘর হলে সিলিংয়ে ঝাড়বাতি ব্যবহার করলে সুন্দর দেখাবে।
রঙিন সাজেপূজায় ঘর সাজাতে উজ্জ্বল রংগুলোকে প্রাধান্য দিতে পারেন। উজ্জ্বল রঙের বিছানার চাদর, বালিশের কাভার ব্যবহারে ঘরের চেহারাই বদলে দিতে পারে। সোফার সাজে রাখতে পারেন দেশীয় নকশার কুশন। মেঝে সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন জ্যামিতিক নকশার কার্পেট। এছাড়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে লাল-সাদা রঙে ঘর সাজাতে পারেন। ডিভান থাকেলে সেটিতে সাদা বা অফ হোয়াইট কুশন ব্যবহার করতে পারেন। লাল-সাদা টেবিল ক্লথে টেবিল সাজালে দেখাতে ভালো লাগবে। চাইলে পূজার আগে পুরোনো পর্দা বদলে নিতে পারেন। তাঁত বা ব্লক-প্রিন্টেডের পর্দাগুলো ঘরে অন্যরকম আমেজ সৃষ্টি করবে।
বসার ঘর, শোবার ঘরের দেয়ালে দুর্গার ছবি টাঙিয়ে দিতে পারেন। ঘরের দেয়ালে পটচিত্র বা দুর্গা আঁকা মাটির সরা লাগানো যেতে পারে। পাশাপাশি দুর্গাপূজার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পোড়া মাটির শো-পিসও ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া এ সময়ে বাঁশ কিংবা বেতের অনুষঙ্গ ঘরে রাখলে ভালো লাগবে।
সুগন্ধিতে সাজান ঘরঘরকে সুঘ্রাণে ভরে তুলতে তাজা ফুল ব্যবহার করতে পারেন। প্রাকৃতিক উপকরণে তৈরি সুগন্ধি মোমও ব্যবহার করতে পারেন। ঘরকে সুবাসিত করতে নানা রঙের সুগন্ধি মোমবাতির জুড়ি নেই। পূজার সময়ে মোমবাতি ঘরে স্নিগ্ধ ও নরম আলো দেওয়ার পাশাপাশি ঘরের বাতাস মিষ্টি গন্ধে ভরিয়ে তুলবে। মাটির শানকি বা একটু ছড়ানো পাত্রে পানি নিয়ে তাতে ছোট আকারের সুগন্ধি মোম ভাসিয়ে দিতে পারেন।
পূজার ঘরপূজার দিনে ঘরে একটি মাটির কিংবা সিলভার বা তামার দুর্গার মূর্তি নিয়ে আসতে পারেন। এটি ঘরের সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। পূজাঘরের জন্য শুভ বলে মনে করা হয় গাঁদা ফুলকে। সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন। দরজায় ঢোকার মুখে আলপনা করলেও বেশ দেখাবে। পিতল বা মাটির প্রদীপদানি, দেয়ালের সঙ্গে মানানসই পর্দা, পূজায় কাঁসার ঘণ্টাও ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস
আরও পড়ুনঘরকে প্রকৃতিক ছোঁয়া দিন বেতের পণ্যে, যেখানে পাবেনমাটির জিনিসের শৌখিন হলে ঢাকার যেখানে যাবেন
এসএকেওয়াই/কেএসকে/জিকেএস