খেলাধুলা

ঢাকার ক্লাবে ভোটার ৭৬, মনোনয়ন জমা ৩০টি, নির্বাচন করবেন কতজন?

ঢাকার ক্লাব কোটায় কাউন্সিলর ৭৬ জন। মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন ৩২ জন। আর আজ রোববার জমা দিয়েছেন ৩০ জন। এখন প্রশ্ন একটাই, এই ৩০ জনই কি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবেন? মনোনয়নপত্র বৈধ না হলে ভিন্ন কথা; এমনিতে কী এই ৩০ জনের সবাই শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন?

সে প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই। তবে তার আগে এখন চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। এর মধ্যে আছে সমঝোতার খবরও। যদিও আজ তামিমপন্থী বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাবু মিডিয়ার সামনে সেভাবে সমঝোতার কথা মানতে চাইলেন না। তারপরও সমঝোতার উদ্যোগ যে নেয়া হয়েছে, সে প্রক্রিয়া যে এখনো চলছে; তাতো প্রায় ওপেন সিক্রেট।

দু’পক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তামিমের নেতৃত্বাধীন প্যানেল থেকে ৯ জন আর ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থনপুষ্টদের মধ্য থেকে তিনজন পরিচালক ভাগাভাগির প্রক্রিয়া নিয়ে এখনো দেন দরবার চলছে।

এতদিন জানা ছিল, তামিম ইকবাল ছাড়াও তার পক্ষে ফাহিম সিনহা, ইশরাক হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, শানিয়ান তানিম, ইশতিয়াক সাদেক, মাসুদুজ্জামানের থাকা নিশ্চিত; কিন্তু সেই প্রায় নিশ্চিত তালিকা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন ঢাকার সাবেক মেয়র ও প্রয়াত বিএনপি নেতার সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন।

এদিকে ইশরাক সরে যাওয়ার পরও বিএনপিপন্থী প্যানেলে দলটির চার শীর্ষ নেতা সালাউদ্দীন আহমেদের ছেলে সাইদ ইব্রাহীম আহমেদ, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইসরাফিল খসরু, মীর্জা আব্বাসের ছেলে ইয়াসির আব্বাস ও বরকতউল্লাহ ভুলুর ছেলে ওমর শরীফ মোহাম্মদ ইমরানের নাম শোনা যাচ্ছে জোরে সোরে। ধরেই নেয়া যায় মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তারা সবাই তামিমের সাথে এক প্যানেলেই নির্বাচন করবেন।

অপরদিকে ভাগাভাগি প্রক্রিয়ায় অন্য প্যানেল (আমিনুল ইসলাম বুলবুল) তথা ক্রীড়া উপদেষ্টার আশীর্বাদপুষ্ট তিনজন হলেন ফারুক আহমেদ, মেজর (অবঃ) ইমরোজ ও আমজাদ হোসেন (প্রথম বিভাগের দল ঢাকা স্পার্টান্স ক্লাবের কাউন্সিলর)।

তবে ভেতরের খবর, ১২ পরিচালক পদে যতই ভাগাভাগির প্রস্তাব আসুক, তা নিয়ে যত মিটিং, সিটিং আর হইচই-বাদানুবাদ হোক না কেন, আসল কথা হলো তামিমের নেতৃত্বে যে বিএনপিপন্থী প্যানেল বা মোর্চা হয়েছে, তাতে জায়গা না পাওয়া একাধিকপ্রার্থী ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন।

সেই দলে সবার আগে আছেন বিসিবির সর্বশেষ কমিটির পরিচালক, মিডিয়া ও আম্পায়ার্স কমিটি চেয়ারম্যান ইফতিখার রহমান মিঠু এবং মঞ্জুরুল আলম। গতবার মোহামেডানের কাউন্সিলর হয়ে নির্বাচন করে জিতে আসা মঞ্জরুল আলমকে এবার বিএনপিপন্থী প্যানেলে রাখা হয়নি।

জানা গেছে, মঞ্জুও ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করবেন। এছাড়া দেশের ক্রিকেটের পরিচিত মুখ লুৎফর রহমান বাদলও নাকি নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি আদনান রহমান দীপন, বোরহান হোসেন পাপ্পুও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সে তালিকায় সিসিডিএমের সাবেক সম্পাদক ফায়জুর রহমান মিতুর নামও আছেন।

সর্বশেষ বিএনপি আমলে সিসিডিমের শীর্ষ পদে থাকা মিতুও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া ক্লাব পাড়ার পরিচিত মুখ নাজমুল ও শিপলু আর ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ সাব্বির রুবেলও মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত এদের কে বা কারা নির্বাচন করবেন? তা সময়ই বলে দেবে। তবে ইফতিখার রহমান মিঠু, মঞ্জুরুল আলম , লুৎফর রহমান বাদল ও ফায়জুর রহমান মিঠু এবং বোরহান হোসেন পাপ্পুর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সম্ভাবনা অনেক বেশি বলে জানা গেছে।

এআরবি/আইএইচএস্