জাতীয়

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণে দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি

খাগড়াছড়িতে এক মারমা কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ‘ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট’।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

গত ২৩ সেপ্টেম্বরের ওই ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জোট। পাশাপাশি ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আবেদন জানায়। একই সঙ্গে এ ধরনের সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিশেষ আবেদন রাখে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। পরে মেয়েটির বাবা স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে খোঁজাখুঁজি করে রাত ১১টার দিকে একটি ফসলের খেতে অচেতন অবস্থায় তাকে পায়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুনখাগড়াছড়িতে সহিংসতায় ৩ মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি আসকের১৪৪ ধারা-অবরোধে স্থবির খাগড়াছড়ি, থমথমে গুইমারাখাগড়াছড়ির ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি টিআইবির

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাংলাদেশে বিদ্যমান ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত অধ্যাদেশ ২০২৫)-এর ৯(১) ধারা অনুসারে ধর্ষণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

নারীর প্রতি এ ধরনের সহিংসতার ঘটনা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা), ৩১ (আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার) ও ৩২ (জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ) এবং নারীর প্রতি সব প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদের (সিডো) সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।

এফএইচ/একিউএফ/এএসএম