জাতীয়

বায়েজিদ ও হালিশহরের টিজিকে আধুনিক ল্যান্ডফিল করা হবে: চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব করতে বায়েজিদ ও হালিশহরের ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ডকে (টিজি) ধাপে ধাপে আধুনিক ল্যান্ডফিলে রূপান্তর করা হবে। এতে একদিকে পরিবেশ দূষণ কমবে, অন্যদিকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিঅ্যান্ডএফ কোম্পানি লিমিটেড এবং চসিক-এর মধ্যে ল্যান্ডফিল গ্যাস প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মেয়র শাহাদাত।

চসিকের পক্ষে মেয়র শাহাদাত ও বিঅ্যান্ডএফ কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে পার্ক চোং ওয়ান ( Park Chong Wan) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বিঅ্যান্ডএফ কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন মেজর নাসিম, অ্যাডভোকেট তারানুম বিনতে নাসিম, পার্ক চং ওয়ান, পার্ক হি ওয়ান, সিউন গওন চোই, সান এ কোয়াক, মো. নোফিল তামিম খান, ⁠ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ কুমার সাহা ও মো. জিয়াউল করিম। চসিকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ডা. এস এম সারোয়ার আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা ছাড়া বিকল্প নেই। উন্নত নগর গড়তে হলে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি।

চসিক মেয়র জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার বিঅ্যান্ডএফ কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগিতায় হালিশহরে বর্জ্য থেকে গ্যাস উৎপাদন করা হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি ১৫০ টন বর্জ্য প্রক্রিয়া করবে। পরে ধাপে ধাপে সক্ষমতা ২ হাজার টনে উন্নীত হবে। পরবর্তীতে আরেফিন নগরে একই ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর ফলে বর্জ্যের আকার কমে আসবে এবং কার্বন নিঃসরণ কমবে। এতে উন্নত হবে চট্টগ্রামের পরিবেশ।

এমআরএএইচ/এমএমকে