দেশজুড়ে

এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় ভুগছে অর্ধলাখ মানুষ

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় ভুগছে অর্ধলাখ মানুষ। দ্রুত রাস্তাটি পাকা করে সমস্যা থেকে মুক্তি চান এলাকাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের ইটাই গ্রামের মামুনের বাড়ি থেকে বাঁশমুড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তাটিতে বৃষ্টির কারণে হাঁটু পরিমাণ কাদা জমে আছে। ফলে মানুষজন চলাচল করতে পারছে না। এই রাস্তা দিয়ে বাওনা, ইটাই, বাঁশমুড়ি, আলীহাটসহ বেশকিছু গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। তারা ইচ্ছা করলেও কৃষিপণ্য বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না। আবার অসুস্থ রোগীকেও চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে পারছেন না। রাস্তাটির কারণে গ্রামীণ অর্থনীতিতে পড়ছে বড় ধরনের প্রভাব।

বাঁশমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা সাব্বির হোসেন বলেন, বর্ষাকাল এলে বাড়ি থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে যায় আমাদের জন্য। কাদার কারণে না পারি বাজারে যেতে, না পারি কাজে যেতে। খুব কষ্ট হয় আমাদের। আমাদের কষ্ট কারো নজরে পড়ে না। এতদিন হয়ে গেলো এতটুকু রাস্তা কেউ পাকা করে দেয় না।

রহিমা বিবি নামে এক গৃহকর্মী বলেন, আমার মেয়ে অসুস্থ, চাইলেও তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনি। কাদার কারণে ভ্যান কিংবা অন্য কোনো যানবাহন আসতে চায় না। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে অনেক সময় যেতে পারলেও সঠিক সময়ে যেতে পারি না চিকিৎসার জন্য। কী এমন পাপ করেছি আমরা, যে রাস্তা পাকা হয় না আমাদের।

আরও পড়ুন- ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ, বেড়েছে মাছ-সবজির দামগাছ কেটে সাবাড়, ধ্বংস চর বনায়নস্বাস্থ্যকেন্দ্রের করুণ দশা

আসাদ নামের একজন শিক্ষার্থী ও সাইফুল ইসলাম নামের একজন শিক্ষক বলেন, এই রাস্তা দিয়ে বাওনা স্কুল, বাঁশমুড়ি স্কুলসহ আরও দুটো মাদরাসা আছে। কিন্তু কাদার কারণে বেশ কিছুদিন স্কুলে যেতে পারি না। সরকারের কাছে অনুরোধ দ্রুত এই রাস্তাটি পাকা করে দেওয়া হোক।

আমজাদ হোসেন নামের এক কৃষক বলেন, আমরা কৃষক মানুষ, ফসল উৎপাদন করলেও রাস্তার কারণে সেটা সময়মতো বাজারে নিতে পারি না। যার কারণে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এতে আমাদের লোকসান গুনতে হয়। অনেক সময় খুব কষ্টে বেশি ভাড়া দিয়ে বাজারে পণ্য নিয়ে গেলেও ভাড়ার টাকাই ওঠে না। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, আমাদের কৃষকদের কথা চিন্তা করে হলেও রাস্তাটি দ্রুত পাকা করে দেওয়া হোক।

আলীহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আল ইমরান বলেন, রাস্তাটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। স্থানীয়দের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে এরইমধ্যে দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগে চাহিদা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত রাস্তাটি পাকা করা হবে।

মো. মাহাবুর রহমান/এফএ/জেআইএম