আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের জব্দ তালিকার দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এরপর মামলার কার্যক্রম ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
সাক্ষী দুজনের মধ্যে রাষ্ট্র পক্ষের ১০ম সাক্ষী হলেন পুলিশ ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো. রায়হানুল রাজ দুলাল ও ১১তম সাক্ষী হলেন এসআই (নিরস্ত্র) মো. রফিকুল ইসলাম। পিবিআই রংপুরে কর্মরত এই দুজন প্রসিকিউশনের জব্দ তালিকার সাক্ষী। তারা জব্দ তালিকার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত জানান। পরে সাক্ষীদের জেরা করা হয়। জেরা শেষে এই মামলার কার্যক্রম আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। সেদিন পরবর্তী সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের জবানবন্দির মধ্যদিয়ে গত ২৮ আগস্ট এ মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর একে একে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
গত ২৭ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশন থেকে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এরও আগে গত ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে এ মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৪ জন এখনো পলাতক। তাদের পক্ষে গত ২২ জুলাই রাষ্ট্রীয় খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।
গত ৩০ জুলাই পলাতক আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত চার আইনজীবী। এর মধ্যে পাঁচজনের হয়ে লড়েন আইনজীবী সুজাত মিয়া। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ। এছাড়া শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম।
তারও আগে গত ২৯ জুলাই তিন আসামির পক্ষে শুনানি হয়। এর মধ্যে শরিফুলের হয়ে লড়েন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো। কনস্টেবল সুজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ইমরানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান।
এফএইচ/ইএ/এএসএম