নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে কোরআন বিতরণ করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তারা কোরআন নিতে দীর্ঘলাইন ধরেন। মূলত অপূর্ব পাল নামে এক শিক্ষার্থীর কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির ৮ নম্বর ফটকে ‘ফ্রি কোরআন ডিস্ট্রিবিউশন’ নামে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো পবিত্র কোরআনের বার্তা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের আহ্বান জানানো।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, কোনো ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ অবমাননা কখনই সহনীয় নয়। তাই তারা প্রতিবাদের ইতিবাচক রূপ হিসেবে কোরআন বিতরণের মাধ্যমে মানুষকে ইসলামের শিক্ষা ও মানবতার বার্তা সব শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দিতে চান।
আরও পড়ুনঅপূর্ব পালকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করলো নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
এর আগে, পবিত্র কোরআন অবমাননার দায়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অপূর্ব পালকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে। রোববার (৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শনিবার অপূর্ব পাল নামে একজন শিক্ষার্থীকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পবিত্র কোরআন অবমাননারত অবস্থায় প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখতে পান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা বিভাগ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও সহাবস্থানের পরিবেশ প্রশংসনীয়ভাবে রক্ষা করেন।
এতে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি। এরই মধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অপূর্ব পাল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। এর আগে তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় বিভাগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার ছিলেন। অবমাননার ঘটনার পর তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এএএইচ/ইএ/এএসএম