ক্যাম্পাস

গঠন হয়নি নির্বাচন কমিশন, শাকসু নিয়ে শঙ্কা

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন আয়োজনে ঘোষণা দিলেও এখনো গঠন হয়নি নির্বাচন কমিশন। এতে শাকসু নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ফলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে অনলাইনে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। সভায় বিগত এক বছরে প্রশাসন কর্তৃক সম্পন্ন নানাবিধ কাজের বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন উপাচার্য। একপর্যায়ে শাকসু নির্বাচনের বিষয়েও আলোচনা হয়। এসময় শাকসু আয়োজনে শিক্ষকদের সহযোগিতা কামনা করেন উপাচার্য।

বক্তব্য শেষে কয়েকজন শিক্ষক উপাচার্যকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং পরিবেশ উত্তপ্ত হয়। তবে বৈঠকের উদ্দেশ্য সফল হয়নি বলে জানা গেছে।

শাকসু বিষয়ে আলোচনার পর এমন পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন কমিশন গঠনে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এজন্য রোববার (১২ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন গঠন করে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। ফলে শাকসু নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার শঙ্কা দেখছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ শাকসু নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা থাকলেও বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের বিরোধিতায় তা হয়নি। আমাদের দাবি, এই সপ্তাহেই রোডম্যাপ ও কমিশন গঠন করতে হবে। অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করবো।’

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদার বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, শিক্ষকদের একটি অংশ নির্বাচনে সহযোগিতা করতে অনিচ্ছুক। এই বিষয়টি শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। শাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কোনো পক্ষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর এটি নির্ভর করতে পারে না।’

বিস্তারিত জানতে চেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

শিক্ষকদের সঙ্গে মিটিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সাজেদুল করিম এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, শাকসুর বিষয়ে কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে, স্থগিত হয়নি। আলোচনা চলমান।

এসএইচ জাহিদ/এসআর/জেআইএম