আর্সেনালের মিডফিল্ডার মাইকেল মেরিনো রয়েছেন দারুণ ফর্মে— বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ চার ম্যাচে করেছেন ছয়টি গোল! মঙ্গলবার রাতে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে করলেন জোড়া গোল। ২৯ বছর বয়সী মেরিনোর নৈপুণ্যে বুলগেরিয়াকে ৪-০ গোলের হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জয়যাত্রা অব্যাহত রেখেছে স্পেন।
মেরিনো গোল দুটিই করেন হেড থেকে। অন্যদিকে মেনিনোর সতীর্থরা একের পর এক সুযোগ নষ্ট করার রোগে ভুগছিলেন। এ জয়ের ফলে গ্রুপ ‘ই’তে স্পেন অপরাজিত থেকে শতভাগ জয়ের রেকর্ড বজায় রেখেছে এবং তুরস্কের থেকে তিন পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে। ৪ ম্যাচে স্পেনের পয়েন্ট ১২। তুরস্কের পয়েন্ট ৯।
এছাড়া এই জয়ের মাধ্যমে লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল টানা ২৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডে (পেনাল্টি শুটআউট বাদে) ভাগ বসিয়েছে।
প্রথম ৪৫ মিনিটে স্পেন ১৮টি শট নেয়; কিন্তু জালের দেখা পায় মাত্র একবার— আর সেটিই আসে মেরিনোর মাথা থেকে।
৩৫তম মিনিটে মিডফিল্ডার পেদ্রি দুর্দান্ত এক ডায়াগোনাল ক্রস দেন, যা রবিন লে নরম্যান্ড মাথা দিয়ে ফিরিয়ে দেন তার সাবেক রিয়াল সোসিয়েদাদ সতীর্থ মেরিনোর দিকে। মেরিনো জোরালো হেডে বল পাঠান জালে— স্পেন ১-০ বুলগেরিয়া।
এর আগে ও পরে আলেক্স বাইনা, সামু আগেহোওয়া এবং মিকেল ওইয়ারজাবাল একাধিক সুযোগ পেলেও বুলগেরিয়ার গোলরক্ষক সভেতোস্লাভ ভুতসোভ দাঁড়িয়ে ছিলেন দেয়াল হয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে বোরহা ইগলেসিয়াস বদলি হিসেবে নেমে দুইবার ভুতসোভকে পরীক্ষায় ফেলেন। এরপর ৬৭তম মিনিটে আবারও জ্বলে ওঠেন মেরিনো।
আলেহান্দ্রো গ্রিমালদো বাম প্রান্ত দিয়ে এগিয়ে এসে নিখুঁত ক্রস দেন— মেরিনো সাত গজ দূর থেকে হেডে গোল করেন, স্পেন ২-০। এটি ছিল তার জাতীয় দলের জার্সিতে ১০ম গোল।
৭৯তম মিনিটে বুলগেরিয়ার আতানাস চেরনেভ আত্মঘাতি গোল করে ব্যবধান বাড়ান (৩-০)। অতিরিক্ত সময়ে মিকেল ওইয়ারজাবাল পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচের শেষ ফল নির্ধারণ করেন — স্পেন ৪-০ বুলগেরিয়া।
এই জয়ে স্পেন চার ম্যাচে চারটিতেই জয় পেলো। ১২ গোল করেছে তারা, এই চার ম্যাচে একটিও গোল হজম করেনি— এমন পরিসংখ্যান নিয়ে তারা গ্রুপে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রেখেছে। মেরিনো এখন বাছাইপর্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। কেবল আরলিং হালান্ড (১২) ও মেমফিস ডিপাই (৭) তার উপরে।
ম্যাচ শেষে মাইবেল মেরিনো বলেন, ‘আমরা জিতেছি, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের আরও নিখুঁত হতে হবে।’
আইএইচএস/