শিক্ষা

৭ জেলায় পাসের হার ৫০ শতাংশের নিচে, ফেলে শীর্ষে গোপালগঞ্জ

এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীন ১৩ জেলার মধ্যে সাতটিতেই পাসের হার ৫০ শতাংশের নিচে। অর্থাৎ এসব জেলা থেকে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের অর্ধেকেরও বেশি পাসই করতে পারেননি। ফেলের সংখ্যার দিক দিয়ে ৭ জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে গোপালগঞ্জ।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সব শিক্ষা বোর্ড একযোগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। এরমধ্যে ঢাকা বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রকাশিত ফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ঢাকা বোর্ডের অধীন ঢাকাসহ ১৩টি জেলা, একটি মহানগর এবং বিদেশ কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ২ লাখ ৯২ হাজার ১৬০ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন এক লাখ ৮৮ হাজার ৭৮৩ জন। গড় পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৩ জন।

ফলাফলে দেখা যায়, ঢাকা মহানগরের পরীক্ষার্থীরা সবচেয়ে ভালো ফল করেছেন। মহানগরের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন এক লাখ ৮ হাজার ২১৮ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৯০ হাজার ৯৩৪ জন। পাসের হার ৮৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৩৪ জন।

এছাড়া ঢাকা বোর্ডের আওতাধীন ঢাকা জেলার অধীন পাসের হার ৬১ দশমিক ২৯ শতাংশ, গাজীপুরে ৬৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ, নারায়ণগঞ্জে ৫১ দশমিক ৯১ শতাংশ, নরসিংদীতে ৬৮ দশমিক ১৮ শতাংশ, মুন্সিগঞ্জে ৫৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ, ফরিদপুরে ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এছাড়া বিদেশ কেন্দ্রে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

যে ৭ জেলায় পাসের হার ৫০ শতাংশের নিচেঢাকা বোর্ডের অধীনে সাত জেলার পাসের হার খুবই কম। সেগুলো হলো- গোপালগঞ্জে পাসের হার মাত্র ৪২ দশমিক ২৮ শতাংশ, শরীয়তপুরে ৪২ দশমিক ৪২ শতাংশ, টাঙ্গাইলে ৪৪ দশমিক ৪১ শতাংশ, মানিকগঞ্জে ৪৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজবাড়ীতে ৪৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ, মাদারীপুরে ৪৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও কিশোরগঞ্জে ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ।

সবচেয়ে কম পাসের হারের জেলা গোপালগঞ্জে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৯ হাজার ৯৮৩ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৪ হাজার ২২১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২১৬ জন।

এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে এবার গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে আওয়ামী লীগ, এনসিপি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলাটিতে গত ১৭ জুলাই কারফিউ জারি করা হয়, যা চলে টানা ২২ ঘণ্টা। এতে জেলাটিতে এইচএসসির একদিনের পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়। পরে নতুন সূচিতে ওইদিনের পরীক্ষাগুলো নেওয়া হয়।

এএএইচ/কেএসআর/এএসএম