রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গুদামে লাগা আগুনের ঘটনায় তদন্তে কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এ কমিটির কথা জানান ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
কমিটির সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসায়নিক প্রকৌশলী বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইয়াছির আরাফাত খান, ফায়ার সার্ভিস ঢাকা জোন-২ এর সহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা, মিরপুর ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সের পিও কাম অ্যাডজুটেন্ট মো. সাইদুল করিম চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ঢাকা ২৩ এর ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর সোহরাহ হোসেন, মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. ফসির উদ্দিন এবং সদস্য সচিব ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন।
এর আগে বুধবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লস্কার তাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডের কারণ নির্ণয়, দায়দায়িত্ব এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে একটি বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) শিয়ালবাড়িতে পোশাক কারখানা ও কসমিক ফার্মা নামের এক কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুন লাগার খবর আসে।
খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রথমে পাঁচ ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে আরও সাত ইউনিট যোগ দেয় আগুন নিয়ন্ত্রণে।
পরে ১৬ জনের মরদেহ পোশাক কারখানা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই ভবনের নিচতলায় আগুনের তীব্রতা থাকায় এবং ছাদে ওঠার দরজা দুটি তালা দিয়ে বন্ধ থাকায় অনেকেই ভবন থেকে বের হতে পারেননি। ফলে ওই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আটকে আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন তারা।
টিটি/এমআইএইচএস/এমএস