ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেছেন, ‘আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শারীরিক অসুস্থতাকে যতটা গুরুত্ব দিই, মানসিক অসুস্থতাকে ততটা গুরুত্ব দিই না কিংবা মানসিক কোনো বিষয় অন্যকে জানাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। এ বিষয়টি ঠিক নয়।’
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৮ অক্টোবর) ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) চত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য এসব কথা বলেন।
ঢাবির ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তর এবং এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘বিপর্যয় ও জরুরি অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক সায়মা মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক সমাজে তরুণ প্রজন্মসহ সব বয়সের মানুষের মধ্যে নানারকম মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় কাউন্সেলিং সেবা নেওয়ার জন্য তিনি সবাইকে পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সেবা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণের ওপর তিনি জোর দেন।
আরও পড়ুনদুর্যোগে মানসিক স্বাস্থ্য: দ্রুত সেবা ও সচেতনতার ওপর বিশেষ জোরদুর্যোগের পর মানসিক রোগ থেকে বের হতে দরকার সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট
ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মেহ্জাবীন হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আজহারুল ইসলাম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উপ-উপাচার্য সায়মা পরে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে টিএসসি চত্বরে স্থাপিত বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিনামূল্যে কাউন্সেলিং সেবা, মনোবৈজ্ঞানিক মূল্যায়ন, মনোবৈজ্ঞানিক খেলা, মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বই প্রদর্শনী ও বিক্রি, কর্মশালাসহ সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম।
এফএআর/একিউএফ/এমএম