আইন-আদালত

শেকৃবি উপাচার্যসহ নিপসমের কীটতত্ত্বের প্রধানকে লিগ্যাল নোটিশ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ এবং জাতীয় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. গোলাম ছারোয়ার বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার।

অধ্যাপক কবিরুল বাশারের পক্ষে রোববার (১৯ অক্টোবর) উপাচার্যের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।

নোটিশে বলা হয়েছে, প্রবন্ধটি অবিলম্বে ‘প্রগ্রেসিভ অ্যাগ্রিকালচার’ নামক সাময়িকী থেকে প্রত্যাহার ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্ধারিত সময়ে সন্তোষজনক পদক্ষেপ না নিলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার অভিযোগ করেছেন, ২০১৪ সালে তার প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি হুবুহু নকল করে ২০১৭ সালে প্রকাশ করেছেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ।

অধ্যাপক বাশারের অভিযোগে বলা হয়, উপাচার্য লতিফের গবেষণা প্রবন্ধে মূল লেখকের অনুমতি ছাড়াই তার কাজ ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৭ সালে প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে সহকারী গবেষক হিসেবে ছিলেন নিপসমের অধ্যাপক মো. গোলাম ছারোয়ার।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ এবং জাতীয় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. গোলাম ছারোয়ারের বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির তীব্র অভিযোগ উঠেছে। তারা ২০১৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশারের একটি মৌলিক গবেষণাপত্র হুবহু নকল করে ২০১৭ সালে নিজেদের নামে প্রকাশ করেছেন।

এফএইচ/এসএনআর/জিকেএস