বাবা-মা দুজনই যখন চাকুরিজীবী, সন্তান তখন অনেকটা অভিভাবকহীনের মতই। কারণ দিনের প্রায় সম্পূর্ণ সময়জুড়েই সে মা-বাবাকে কাছে পায় না। যেটুকু সময় পায়, তা সন্তানের আদর, আহলাদ, আবদারের জন্য যথেষ্ট নয়। একারণে অনেক সময় দেখা যায়, চাকুরিজীবী মা-বাবার সন্তানেরা গম্ভীর, রাগী আর বদমেজাজি হয়ে থাকে। একা একা থাকার কারণে তারা অনেক সময় হীনমন্যতায় ভোগে। সন্তানকে সুস্থ, স্বাভাবিক আর হাসিখুশি রাখার দায়িত্ব আপনারই-১. সারাদিনের কাজের শেষে বাসায় ফিরে ক্লান্ত তো লাগবেই, তবু সন্তানের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলুন।২. দিনটি তার কেমন কেটেছে জানতে চান।৩. স্কুলে মজার কিছু ঘটলো কি না, নতুন কোন বন্ধু হলো কি না, সেসব নিয়ে আলাপ করুন।৪.সবসময় শুধু পড়াশোনা নিয়ে আলাপ করবেন না। এতে তার পড়াশোনার প্রতি বিরক্তি চলে আসতে পারে।৫. পড়াশোনার বাইরে কোন নতুন বই, শিশুতোষ সিনেমা তার ভালো লাগলো কি না জেনে নিন।৬. ছুটির দিনগুলোতে তাকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যান। সম্ভব হলে মা-বাবা দুজনে একসঙ্গে যান। সন্তান খুশি থাকবে।৭. সন্তানকে ভালো কোনো উপহার দিন। খেলনা দিলে তা যেন শিক্ষামূলক কিছু হয়। পুতুল, পিস্তল ইত্যাদি না দিয়ে শিক্ষণীয় কোন উপহার দিন।৮. অবসরে রান্না করে খাওয়াতে পারেন সন্তানের প্রিয় কোন আইটেম। তাতে ভালোলাগার সঙ্গে সঙ্গে চমকও কাজ করবে সন্তানের মনে।