একুশে বইমেলা

ফররুখ আহমদ স্মরণে প্যাপিরাস পাঠাগারের আলোচনা সভা

‘প্রাণের শক্তি বাড়ায় বই, বই পড়ে মানুষ হই’ স্লোগানে গত ১০ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে প্যাপিরাস পাঠাগার। বইপড়ার অভ্যাস বাড়ানোর পাশাপাশি রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদ স্মরণে সাহিত্য আড্ডা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে পাঠাগারটি।

৩১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর শহরের জেএম সেনগুপ্ত রোডের চাঁদ টাওয়ারে পাঠাগার কার্যালয়ে এ আড্ডার আয়োজন করা হয়।

পাঠাগারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান পরিচালক মিজানুর রহমান স্বপনের সঞ্চালনায় কবি ফররুখ আহমদের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আলোচনা করেন সংগঠক ও সমাজসেবক আশিক খান, পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি, উপ-সভাপতি ফেরারী প্রিন্স, নির্বাহী সদস্য নাজমুল ইসলাম, বংশিবাদক বেলাল শেখ, সাহিত্যানুরাগী ঝরনা আক্তার, আকবর হোসেন লিটন, সাইফুল ইসলাম রাজিব ও লিটন দাস।

আরও পড়ুনযুবসমাজকে বইমুখী করতে প্যাপিরাস পাঠাগারের যাত্রা শুরু৬ বছরে ১৩ হাজার বই উপহার দিয়েছে চর্যাপদ একাডেমি

অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি বলেন, ‘রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদ ক্রান্তি ও সংকটকালের পথপ্রদর্শক। কবিতার ভাষায় তিনি বুঝিয়েছেন, সমাজের নীতি নির্ধারকরাই যদি ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে, তাহলে পথ দেখাবে কে?’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বজয় করতে হলে এবং উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিতে সব সময় নিজেকে সজাগ ও সতেজ রাখতে হবে। কুসংস্কার এবং সেকেলে চিন্তা বাদ দিয়ে বাস্তবমুখী হতে হবে। ইতিহাসের বীর যোদ্ধাদের সাফল্য থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে।’

সভাপ্রধান মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘কবি ফররুখ আহমদের কবিতায় নান্দনিকভাবে আরবি ও ফার্সি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। কবিতায় তৎকালীন মুসলিম সমাজের অসংগতিগুলো তুলে ধরে তিনি সমাজকে জাগ্রত করার প্রয়াস চালিয়েছেন।

এসইউ/এমএস