সারাদেশে ক্যানসার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বিশেষ করে ফ্যাটি লিভারজনিত ক্যানসার ও স্তন ক্যানসার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর তিনি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সিঙ্গাপুরের প্রখ্যাত ক্যানসার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তো হান চংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
অধ্যাপক তো হান চং সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ক্যানসার সেন্টারের সিনিয়র কনসালট্যান্ট। সাক্ষাৎকালে তার সঙ্গে ছিলেন সিংহেলথ ডিউক-এনইউএস গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টর বিজয়া রাও এবং সিংহেলথ ও এডিনবরা নেপিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ কালউইন্ডার কউর।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো অসংক্রামক ব্যাধি এখন মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। এসব রোগ প্রতিরোধে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য প্রতিরোধমূলক উদ্যোগ গড়ে তোলার ওপর তিনি গুরুত্ব দেন।
আরও পড়ুনক্যানসারসহ তিন ইউনিটের নির্মাণকাজ ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্নের নির্দেশপরিবারে বংশগত স্তন ক্যানসার থাকলে কীভাবে সাবধান হবেন
তিনি বলেন, এই রোগগুলো সম্পর্কে জাতীয় পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। ক্যানসার বা হৃদরোগের চিকিৎসা সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল। মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলোও যেন তা গ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্যে সহজ ও সাশ্রয়ীভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ সময় অধ্যাপক তো হান চং জানান, ফ্যাটি লিভার রোগ বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় শতকোটি মানুষের শরীরে প্রভাব ফেলছে এবং এটি ক্রমেই লিভার ক্যানসারসহ আরও নানা গুরুতর রোগের কারণ হয়ে উঠছে। এই রোগ সম্পর্কে আরও বিস্তৃত সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের নারীদের জন্য স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত ও স্বল্প ব্যয়বহুল করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। তিনি সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান, বিশেষ করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে।
অধ্যাপক তো হান চং জানান, চলতি সপ্তাহেই সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বাংলাদেশি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রতি বছর চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এমইউ/ইএ/এমএস