পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের পর প্রথমবারের মতো মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর ২০২৫) ভারত থেকে শিখ তীর্থযাত্রীরা পাকিস্তানে প্রবেশ করেছেন।
গত মে মাসে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর দুই দেশের স্থলসীমান্ত বন্ধ হয়ে যায়। সেই সংঘর্ষে মিসাইল, ড্রোন ও আর্টিলারি হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছিলেন।
পাকিস্তানের নয়াদিল্লিস্থ হাইকমিশন জানিয়েছে, গুরু নানকের ৫৫৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী উৎসবে অংশ নিতে ২ হাজার ১০০ তীর্থযাত্রীকে ভিসা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ভারতের ওয়াঘা-আটারি সীমান্তে তীর্থযাত্রীরা মাথায় মালপত্র নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান।
তীর্থযাত্রীরা বুধবার (৫ নভেম্বর) লাহোর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত গুরু নানকের জন্মস্থানে জমায়েত হবেন। এরপর তারা কারতারপুরসহ পাকিস্তানের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানে যাবেন, যেখানে গুরু নানক সমাধিস্থ আছেন।
পাকিস্তান হাইকমিশন জানিয়েছে, এই উদ্যোগটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি জোরদার করার প্রচেষ্টার অংশ।
গত শনিবার (১ নভেম্বর) ভারতের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার সীমিতসংখ্যক তীর্থযাত্রী দলকে পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি দেবে।
২০১৯ সালে চালু হওয়া কারতারপুর করিডোর মে মাসের সংঘর্ষের পর থেকে বন্ধ রয়েছে।
৪ দিনের সংঘর্ষটি শুরু হয় ২২ এপ্রিল পহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার অভিযোগের পর, যা ইসলামাবাদ অস্বীকার করে।
সূত্র: দ্য হিন্দু
এমএসএম