এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে ফিলিপাইন। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করে জানিয়েছে, ‘ফাং-ওং’ নামে এই ঘূর্ণিঝড় দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করছে এবং তা সুপার টাইফুনে পরিণত হয়ে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।
এর আগে, গত সপ্তাহে ফিলিপাইনে আঘাত হানে টাইফুন ‘কালমেগি’, এতে দেশটিতে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। ভিয়েতনামেও অন্তত পাঁচজন নিহত হন। এখন সেই বিপর্যয় সামলাতে না সামলাতেই আরও এক ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে দেশটির পূর্ব উপকূলের দিকে।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া অধিদপ্তর পাগাসা জানিয়েছে, শনিবার সকালে ফাং-ওং ফিলিপাইন সাগরের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছিল। এসময় ঝড়ো বাতাসের গতি উঠছিল ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ঘূর্ণিঝড়টির ব্যাস প্রায় ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার, যা প্রায় গোটা দেশকেই ঢেকে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন>>ফিলিপাইনে বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনের তাণ্ডবফিলিপাইনে টাইফুন-বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০ভয়াবহ টাইফুনের কবলে ফিলিপাইন, বন্যায় দুজনের মৃত্যু
পাগাসা সতর্ক করে জানিয়েছে, লুজন দ্বীপ (যেখানে রাজধানী ম্যানিলা অবস্থিত), ভিসায়াস অঞ্চল ও সার্গাও দ্বীপে প্রবল বৃষ্টিপাত, ধ্বংসাত্মক জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিম্নাঞ্চল ও উপকূলের বাসিন্দাদের উচ্চভূমিতে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
ফিলিপাইন সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাগাসার সতর্কতা জারির পর দেশটির জাতীয় উড়োজাহাজ সংস্থা ফিলিপাইন এয়ারলাইনসসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা ফ্লাইট বাতিল করেছে।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফাং-ওং চলতি বছরের ২১তম নামকৃত ঝড়। এটি শুক্রবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে টাইফুনে রূপ নেয়।
সূত্র: সিএনএনকেএএ/