দেশজুড়ে

আট বছর পর হিলি দিয়ে আপেল আমদানি

আট বছর পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আপেল আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতের কাশ্মির থেকে এসব আপেল আমদানি করেন চট্টগ্রামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খাজা আজমির ট্রেডিং।

রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় দিকে ২৫ মেট্রিক টন আপেল নিয়ে একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশের মধ্যে দিয়ে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। কাস্টমসের যাচাই-বাছাই শেষে সন্ধ্যায় এসব আপেল বন্দর থেকে খালাস কার্যক্রম শুরু হয়।

জানতে চাইলে হিলি সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম শাহিন জানান, ‘করোনার মহামারির আগে ভারত থেকে আপেল আমদানি হয়েছিল। সবার সহযোগিতায় আবারও আমদানি শুরু হয়েছে। এখানে কাস্টম যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন। এন বি আর সহযোগিতা থাকলে আমদানি বাড়বে সেই সঙ্গে বন্দরের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।’

হিলি বাজারের ফল ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমান জানান, ‘দীর্ঘদিন এ বন্দর দিয়ে কোনো প্রকার ফল আমদানি না হওয়ায় যশোরের বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত ফল এনে বাজারে বিক্রি করতে হতো। এতে লেবার খরচ, পরিবহন খরচ সবকিছু মিলিয়ে প্রতিটি ফলে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বা তারও বেশি পড়ে। যার প্রভাব পড়ে খুচরা বাজারে। ক্রেতারাও বাধ্য হয়ে বেশি দামে এসব ফল কিনে নেন।

এদিকে হিলি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আপেল প্রকার ভেদে ২৬০ টাকা, কমলা প্রকার ভেদে ৩৬০ টাকা, আঙুর ৫০০ টাকা, আনার প্রকার ভেদে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এম আর জামান বাঁধন বলেন, দীর্ঘদিন পর এই বন্দর দিয়ে আপেল আমদানি শুরু হয়েছে। প্রতি টন আপেল ৭০০ ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। আপেল যেহেতু কাঁচাপণ্য তাই দ্রুত ছাড়করণে আমদানিকারকদের সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

মো. মাহাবুর রহমান/আরএইচ/জিকেএস