দেশজুড়ে

রাতের সৈকত আলোকিত করতে বসানো হচ্ছে হ্যালোজেন বাতি

কক্সবাজারে রাতের সৈকত আলোকিত করতে হ্যালোজেন বাতি বসানো হচ্ছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) পর্যন্ত ১৫টি লাইট স্থাপন করা হয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে লাইট স্থাপন করার কাজ শুরু হয়।

পর্যায়ক্রমে সবকটি পোলে বাতি স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির তত্ত্বাবধায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম।

ইলেকট্রিশিয়ান নুরুল আবছার বলেন, বৃষ্টিতে বিদ্যুতের তার, হোল্ডার নষ্ট হয়ে গেছে। এক পিলার থেকে অন্য পিলারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। প্রথম দিন ৬টি এবং পরবর্তী দুদিনে আরও ৯টিসহ মোট ১৫টি লাইট স্থাপন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজিম খান বলেন, ইলেকট্রিকের তার, হোল্ডার, লোহার এঙ্গেলে মরিচা ধরেছে। এগুলো পরিবর্তন করে নতুন করে কাজ শুরু করেছি। স্বল্পমূল্যে দীর্ঘমেয়াদী লাইটগুলো বসানো হলে সৈকত আলোকিত হবে। পর্যটকেরা নির্বিঘ্নে ঘুরাঘুরি করতে পারবেন।

এডিএম শাহিদুল আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকে বাতি স্থাপনের কাজ শুরু হয়। এখনকার লাইটগুলো অনেক উন্নতমানের। সহজে মরিচা ধরবে না। এগুলো জাহাজে ব্যবহার হয়। হ্যালোজেন বাতিগুলো ৭০০ ও ৪০০ ওয়াটের মধ্যে। এগুলো অনেক শক্তিশালী। পোল দেখে বাকি বাতিগুলো স্থাপন করা হবে। ডায়াবেটিক পয়েন্ট হতে কলাতলী পর্যন্ত পুরো এলাকা ক্লিয়ার করতে ১৫ থেকে ২০দিন সময় লাগতে পারে।

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আপেল মাহমুদ বলেন, অন্ধকারাচ্ছন্ন সৈকত ও ঝাউবনে দায়িত্বপালন করা কঠিন। ঝাউবাগান ছাড়াও রাতে সড়কের বিভিন্ন মোড়ে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে। টুরিস্ট পুলিশের অবস্থানের কারণে, অপরাধীরা এখন আর আগের মত সৈকত এলাকায় আসে না। অপরাধী শনাক্তে বিচ এলাকায় ৩৩টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বাতি বসানোর ফলে, এখন কাজে আরও গতি আসবে এবং সৈকতে রাতের সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। এতে পর্যটকদের নিরাপত্তাও জোরদার হবে।

সায়ীদ আলমগীর/এনএইচআর/এমএস