প্রথম সেশনে আয়ারল্যান্ডের একটি আর দ্বিতীয় সেশনে তিনটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। তৃতীয় সেশনের শুরুতেই জোড়া আঘাত হেনেছেন অভিষিক্ত বাঁহাতি পেসার হাসান মুরাদ। আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে আইরিশরা। ২১৮ রানে তারা হারিয়েছে ৬ উইকেট।
সকালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি। ব্যাট করতে নেমেই নিজের উইকেট হারান তিনি।
বাংলাদেশ দলে দুই পেসার, তিন স্পিনার। দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানাকে দিয়েই বোলিংয়ের সূচনা করান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। উদ্দেশ্য সকালের শিশির ভেজা উইকেটে যদি দ্রুত দুই-একটি উইকেট নেয়া যায়!
অধিনায়কের পরিকল্পনা সফল। ইনিংসের একেবারে প্রথম ওভারেই ব্রেক থ্রু এনে দিলেন পেসার হাসান মাহমুদ। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে তার বলে লেগ বিফোর হয়ে গেলেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবিরনি। ৪ বল খেলে কোন রান না করেই আউট হন তিনি। স্কোরবোর্ডেও ততক্ষণে কোনো রান যোগ হয়নি।
কিন্তু প্রথম সেশনের বাকি অংশে আর আয়ারল্যান্ডকে কোনো বিপদে ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এরই মধ্যে হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেন অভিজ্ঞ পল স্টার্লিং। শেষ পর্যন্ত ২৬ ওভারে ১ উইকেটে ৯৪ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় আয়ারল্যান্ড।
বিরতির পরের ওভারেই পল স্টার্লিংকে তুলে নেন নাহিদ রানা। ৬০ রান করে দ্বিতীয় স্লিপে সাদমান ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্টার্লিং। পরের ওভারে আরও এক উইকেট। এবার মেহেদী হাসান মিরাজ এলবিডব্লিউ করেন নতুন ব্যাটার হ্যারি টেক্টরকে (১)।
দারুণ খেলছিলেন অভিষিক্ত কাডে কারমাইকেল। হাফসেঞ্চুরিও পূরণ করেন টেস্ট মেজাজে। শেষ পর্যন্ত তার উইকেটটিও নেন মিরাজ। টাইগার অফস্পিনারের ঘূর্ণিতে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ হন কারমাইকেল, করেন ৫৯ রান।
হাফসেঞ্চুরির পথে ছিলেন কুর্তিস ক্যাম্ফারও (৪৪)। প্রথম স্লিপে শান্ত নেন দারুণ এক ক্যাচ। অভিষেকে উইকেটের দেখা পান হাসান মুরাদ। তার ঘূর্ণিতে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে ফিফটি মিস করেন আরেক সেট ব্যাটার লরকান টাকারও (৪১)।
এরপর মিরাজকে এগিয়ে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে স্টাম্পিং হন অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন (৫)। ২২২ রানে ৭ উইকেট হারায় আইরিশরা।
এমএমআর