কোনো নির্দেশনা বা প্রজ্ঞাপন দিয়ে সংস্কার হতে পারে না, কোনো দেশে কখনো তা হয়নি—এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে আগামীর যে সংস্কার সেটা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংসদে হবে। এর বাইরে কোনো সংস্কারের সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে ৩১ দফা সংস্কারের যে প্রস্তাব, সেটা আমরা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে পরিপূর্ণভাবে সমাধান ও বাস্তবায়ন করবো।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কারের ব্যাপারে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, সংস্কার হতে হবে একটি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সংসদের মাধ্যমে। সংসদের মধ্য থেকেই সংস্কার হতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে এসে সংস্কার করবেন। এর বাইরে কোনো সংস্কারের সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের দীর্ঘ লড়াইয়ে বাংলাদেশ বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এত ত্যাগের পর আজ আবারও গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।
‘সেই হুমকি আসছে এমন এক সময়ে যখন গোটা দেশের মানুষ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচনের মাধ্যমে একটা নির্বাচিত সংসদ করতে চায়, একটা নির্বাচিত সরকার করতে চায়’- বলেন তিনি।
নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের বাহক—এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমরা সেই গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করা, বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা বাধাগ্রস্ত করার মতো নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি। আমরা যে জায়গায় আজ এসেছি, যে ক্রান্তিলগ্নে এখন দাঁড়িয়ে আছি, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য এটি মোকাবিলা করতে হবে। ৭ নভেম্বরের স্পিরিট নিয়ে আবারও এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
এমএইচএ/এমকেআর/এমএস