জাতীয়

পুরান ঢাকায় রাস্তা ফাঁকা, রিকশার উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ডাকা ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে বিরাজ করছে চাপা আতঙ্ক। সকাল থেকেই প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি ও ভারী যানবাহনের সংখ্যা ছিল খুবই কম। কোথাও তেমন যানজটও দেখা যায়নি। তবে রিকশার উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক বেশি।

তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরান ঢাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে সূত্রাপুর ও কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, ব্যক্তিগত গাড়ি ও ভারী যানবাহনের সংখ্যা খুবই কম, তবে রিকশার উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি। বেলা আড়াইটায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও, সাধারণ দিনের তুলনায় সড়কে সাধারণ মানুষের চলাচলও ছিল কম।

সুবাস বোস এভিনিউ এলাকায় পথচারী আক্তার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এলাকায় প্রতিদিন ফুটপাত জুড়ে বসে অস্থায়ী দোকান ও হকাররা। এতে পথচারীদের চলাচল ব্যাহত হয়। কিন্তু আজ সেই দোকানগুলোও নেই। জরুরি কাজ ছাড়া অনেকে হয়তো বের হয়নি।

সুবাস বোস এভিনিউ ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়কে কিছু রিকশা ও পণ্যবাহী যান চলাচল করছে। বাহাদুর শাহ পার্ক-সংলগ্ন সড়কের ফুটপাতের কিছু স্থানে দোকান বসাতে দেখা যায় কয়েকজন হকারকে।

ফুটপাতে কাপড়ের দোকান বসানো ব্যবসায়ী সুমন মিয়া বলেন, আজ লোকজন কম, অনেকে দোকানই খুলে নাই। আবার অনেকে নিরাপত্তার কথা ভেবে দেরিতে দোকান খুলছে।

রায়সাহেব বাজার থেকে আদালতপাড়া হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ ছিল কিছুটা বেশি। সদরঘাট, ইংলিশ রোড, জনসন রোড ও চিত্তরঞ্জন এভিনিউয়ে দুপুরের দিকে ধীরে ধীরে যান চলাচল বাড়তে শুরু করে। রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে ছেড়ে যাচ্ছিল বিভিন্ন রুটের গণপরিবহন।

সাভারগামী সাভার পরিবহনের বাসচালক পলাশ ইসলাম। তিনি বলেন, সড়কগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো দেখা যাচ্ছে। তবে যাত্রীর চাপ সকাল থেকে কম পেয়েছি।

সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা বাড়তি সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি।

এমডিএএ/এমএমকে/জেআইএম