ক্যাম্পাস

আওয়ামী লীগের নাশকতার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জুলাইসহ সব গণহত্যার বিচার ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নাশকতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ২টায় রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বাহাদুর শাহ পার্কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এ সময় জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ৫ তারিখের পর এমন একটা কর্মসূচি নিতে হবে ভাবি নাই। যারা গণহত্যা চালিয়েছে তারা এক সময় লকডাউন দিবে এটা আমাদের কল্পনায়ও ছিল না। ইন্টেরিম সরকারের ব্যর্থতার কারণে তারা এই সুযোগ পেয়েছে। ইন্টেরিম সরকারকে বলতে চাই, এখনও সময় আছে আপনারা ঘুরে দাঁড়ান। যারা ফ্যাসিজম চালিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনুন।

গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির জবি শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বলতে আর কিছু নেই। তারা গর্তে আছে, গর্তে থাকুক। এর থেকে যেন বের না হয়। যারা লীগকে স্পেস দিতে চায় তাদের বলি, ৫ আগস্টে আপনারা কই ছিলেন? আজকে আওয়ামী লীগের কবর রচিত হয়েছে। যদি কেউ আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে তাদের বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করা হবে।

ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, বিদেশে পালিয়ে থেকে শেখ হাসিনা কর্মসূচি দিয়েছেন, ঢাকা নাকি আজকে লকডাউন। জনগণ সেই লকডাউন প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার, হাসিনার চ্যাপ্টার বাংলাদেশে ক্লোজ হয়ে গেছে। যারা বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিজম কায়েম করতে চায় তাদের আশায় জনগণ গুঁড়ে বালি দিয়েছে। তারা আবু সাইদের রক্ত ঝরিয়েছে, যারা মুগ্ধের রক্ত নিয়েছে। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনার ফাঁসি দিতে হবে।

জবি ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, আজ যারা জবিতে জকসুর জন্য আলাদা আলাদা প্যানেল তৈরি করছে, তারা লীগের জন্য আজকে এক হয়ে গিয়েছে। আমরা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিতে চাই এজন্য। তবে আজকে আমরা দেখতে পাই, জুলাইয়ে ভূমিকা রাখা কেউ কেউ অংশ নেয় নাই আজকে। আমরা জানতে চাই, কেন এত দ্রুত এই বিভাজন। এই বিভাজনের জন্য লীগ লকাডাউন ঘোষণা করার মতো সাহস করছে। আমরা লীগকে এই দেশে পুনরায় আসতে দেবো না।

জবি শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, জুলাইয়ে আমরা শিক্ষক-শ্রমিক-শিক্ষার্থী এভাবে আজকের মতোই একত্র হয়ে আন্দোলন করেছিলাম। আমরা ঘোষণা দিতে চাই, আওয়ামী লীগ যদি পুরান ঢাকায় কোনো কার্যক্রম করতে চায়, তবে শুধু শিক্ষার্থীরা না, পুরান ঢাকায় সবাই তাদের রুখে দেবে। আমরা ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী সবাইকে আহ্বান জানাতে চাই, আপনারা আমাদের ডাকে সাড়া দেবেন। লীগকে যেই প্রাসঙ্গিক করতে যাবে, সেই বাংলাদেশ থেকে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। এই পুরান ঢাকাকে প্রত্যেকটা জনগণের রক্ষা করতে হবে।

জবি শিক্ষার্থীদের আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।

টিএইচকিউ/এএমএ/এমএস