অগ্রহায়ণের আগমনী বার্তায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতজুড়ে অবাধে বসতে শুরু করেছে শীতের পোশাকের দোকান। দিনের শেষে কিংবা ভোরে সামান্য শীত অনুভব করলেও বিক্রেতারা এরইমধ্যে ফুলহাতা গেঞ্জি, মোটা গেঞ্জি, হুডি, জ্যাকেট, প্যাডেড জ্যাকেটসহ নানা ধরনের পোশাক সাজিয়ে বসেছেন।
মিরপুর ২, ১০, ১৩ নম্বর ও শাহ আলী মার্কেট সংলগ্ন ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে, শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছেন বিক্রেতারা। দাম রাখা হয়েছে ৪০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে। তবে এখনো ক্রেতাদের ভিড় তেমন চোখে পড়েনি।
শীতের আগমনী আমেজ ফুটপাতে থাকলেও ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়েনি। বিক্রেতারা আশা করছেন, শীত বাড়লে ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বেচাকেনা জমে উঠবে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে এসব এলাকায় ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্যাডেড জ্যাকেট, মোটা গেঞ্জি, উলের কানটুপি, সোয়েটার, মাফলারসহ বিভিন্ন পোশাক বিক্রি হলেও ক্রেতা উপস্থিতি কম। অনেক দোকানে দেখা গেছে- দুই একজন ক্রেতা পোশাক দেখে দাম জিজ্ঞেস করে চলে যাচ্ছেন। মিরপুর ১০ নম্বর ফায়ার সার্ভিসের বিপরীত পাশের ফুটপাতে অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী শীতের পোশাক নিয়ে বসেছেন।
সেখানে কথা হয় ক্রেতা আবন্তি ও নুর আলম দম্পতির সঙ্গে। নুর আলম জানান, এবার শীতের পোশাকের দাম বেশি। তিনি বলেন, শীত পড়া শুরু হলে দাম আরও বেড়ে যায়, তাই আগে এসেছি। কিন্তু একটি প্যাডেড জ্যাকেটের দাম বলছে ১ হাজার ৫০০ টাকা, অনেক বেশি বলছে দাম।
মোটরসাইকেলচালক ক্রেতা শামসুলও জানান, রাতে ঠান্ডা লেগে শীতের পোশাক কিনতে এলেও দাম তাকে হতাশ করেছে। তার ভাষায়, ভালো একটি জ্যাকেটের দাম ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা চাইছে, কমানোর কোনো সুযোগ নেই। অন্যদিকে, বিক্রেতাদের দাবি, এখনও শীত জেঁকে বসেনি, তার ওপর মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো নয় এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবও রয়েছে বাজারে। ফলে ক্রেতা সমাগম কম।
বিক্রেতা মিরাজ জানান, মাসের শুরু থেকেই শীতের পোশাক বিক্রি শুরু করলেও ক্রেতা পাওয়া দুষ্কর। গত বছরের মতোই দাম রাখা হয়েছে, নতুন পণ্যও আনেননি।
একইভাবে মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন ফুটপাতেও গেঞ্জি, টি-শার্ট, ফুলহাতা শার্ট ও প্যান্ট নিয়ে বসেছে কয়েকটি দোকান। সজীব নামের এক বিক্রেতা বলেন, এবার শীতের পোশাক আগেই এনেছি। কিন্তু চারদিকে অশান্ত পরিবেশ, বেচাকেনা হচ্ছে না। ভোট হলে মানুষের হাতে টাকা আসবে, তখন কিনবেও।
এসএম/এএমএ/এএসএম