আইন-আদালত

ধানমন্ডিতে মারধরের শিকার সালমা হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে মারধরের শিকার সেই নারীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতারের পর এবার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে এই আদেশ দেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মারধরের শিকার সালমা ইসলামকে ধানমন্ডি থানায় ‌‘জুলাই আন্দোলনে’ হত্যাচেষ্টা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার মিয়া তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত চলাকালে কারাগারে রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, ধানমন্ডি-৩২ নম্বর এলাকা থেকে বিএনপি–জামায়াতের কর্মীরা ওই নারীকে ধরে পুলিশের কাছে তুলে দেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে মামলার ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। নাম–ঠিকানার যাচাইসহ নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য তাকে কারাগারে রাখা প্রয়োজন।

তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার মিয়া আদালতের এই প্রক্রিয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেছেন।

সালমা ইসলামের আইনজীবী আবুল হোসেন পাটোয়ারি শুনানিতে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ তা বিরোধিতা করে। পরে উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি-৩২ নম্বর এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই নারীকে পিটুনি দেয় স্থানীয় কয়েকজন। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছরের ১৯ জুলাই ‘জুলাই আন্দোলন’ চলাকালে ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোড এলাকায় মিছিলে অংশ নেন আবু সাঈদ মু. সাইম। সে সময় মিছিলে হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর চিকিৎসা নিয়ে একই বছরের ১ ডিসেম্বর তিনি ধানমন্ডি থানায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৩৭ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।

আশিকুজ্জামান/এমআরএম