উদীয়মান ক্রিকেটারদের এশিয়া কাপে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে ৩২ বলে সেঞ্চুরি করে আলোচনায় বৈভব সূর্যবংশি। গত প্রায় দুই বছর ধরে বিভিন্ন সময় নিজের বিধ্বংসী ব্যাটিং দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জায়গা করে নিচ্ছেন ১৪ বছর বয়সী এই তারকা।
আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৩২ বলের ঝোড়ো সেঞ্চুরিটি শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় ৪২ বলে ১৫ ছক্কায় ১৪৪ রানে। শতকটি আবার ভারতের ছেলেদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম।
শুধু যে স্বদেশিদের রেকর্ড ভেঙেছেন তা নয়, গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের একটি রেকর্ডও। ২০০৫ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশ ‘এ’দলের হয়ে ১৬ বছর ১৭১ দিনে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে মুশফিক খেলেছিলেন অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংস। যা সিনিয়র লেভেলে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা যে কোনো সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটারের সেঞ্চুরি। ২০ বছর পর মুশফিকের সেই রেকর্ডটি ভেঙে দিলেন সূর্য।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) মাত্র ১৪ বছর ২৩২ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করে সিনিয়র লেভেলে জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করা ক্রিকেটার হিসেবে তিনি বনে গেছেন সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানে। এত কম বয়সে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা জাতীয় পর্যায়ে আর কোনো সেঞ্চুরি নেই। পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম শতকের তালিকায়ও জায়গা করে নিয়েছে সূর্যবংশির সেঞ্চুরিটি। যা যৌথভাবে পঞ্চম।
সূর্যবংশির বিধ্বংসী এই ইনিংস খেলার ক্ষেত্রে কৃতিত্ব দিতে হবে প্রতিপক্ষকেও। মাঠে নামার পরই প্রথম বলে তার ক্যাচ ছেড়ে দেন আরব আমিরাতের এক ফিল্ডার। সেই সুযোগের পূর্ণ ফায়দা আদায় করে নিয়েই ৩২ বলে সেঞ্চুরির পর থামেন ম্যাচের ১৩তম ওভারে ৪২ বলে ১৪৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। ১১ চার ও ১৫ ছক্কায় তিনি সাজান ৩৪২.৮৫ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি।
ভারত ‘এ’ দল ৪ উইকেটে ২৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায়। যা পুরুষদের টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে যৌথভাবে পঞ্চম সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। সূর্যবংশীর ১৪৪ রানের পর শেষদিকে অধিনায়ক জিতেশ শর্মা ৩২ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের ঝড় তোলেন। বিরাট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সংযুক্ত আরব আমিরাত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে থেমে যায়। হারতে হয় ১৪৮ রানে। ভারতের বাঁ-হাতি পেসার গুরজপনিত সিং ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
আইএন/আইএইচএস/