ইলিয়াস মশহুদ
শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি (রহ.) ইসলামের ইতিহাসে এমন এক অনন্য মনীষী, যার চিন্তা, দর্শন ও আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা পরবর্তী সুফিবাদ ও ইসলামি দর্শনের ধারায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। তিনি ছিলেন একাধারে আধ্যাত্মিক সাধক, গভীর চিন্তক ও দার্শনিক, প্রভাবশালী লেখক ও অনন্য কবি, যার রচনাশৈলী ও ভাবনার গভীরতা আজও গবেষকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তার প্রবর্তিত ‘ওয়াহদাতুল উজুদ’ বা ‘অস্তিত্বের একত্ব’তত্ত্ব মুসলিমবিশ্বে এক নতুন দার্শনিক আলোচনার জন্ম দেয়। এই তত্ত্বে তিনি স্রষ্টা ও সৃষ্টির পারস্পরিক সম্পর্ককে এমনভাবে বিশ্লেষণ করেন, যা তাসাউফের ব্যাখ্যায় এক মৌলিক দিকনির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
ইবনুল আরাবির মতে, সমগ্র সৃষ্টিই আল্লাহর অস্তিত্বের প্রতিফলন, তিনি একমাত্র সত্য সত্তা, আর অন্য সব অস্তিত্ব তাঁরই প্রকাশ। ইবনুল আরাবির জীবনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল জ্ঞানার্জন, আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক সত্যের অনুসন্ধান। জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি জ্ঞান ও প্রজ্ঞার সন্ধানে নানা অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন, আন্দালুস থেকে শুরু করে মক্কা, বাগদাদ, কুনিয়া ও দামেশক পর্যন্ত। তার ভ্রমণ শুধু ভৌগোলিক নয়; বরং আত্মিক ও জ্ঞানমূলক অভিযাত্রা ছিল, যা তার দর্শন ও চিন্তাধারাকে গভীরতা দিয়েছে।
তার লেখনী শুধু ইসলামী আধ্যাত্মিক দর্শনের ভিত্তি গঠনে সহায়তা করেনি; বরং পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে মুসলিম ও অমুসলিম উভয় জগতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। মোটকথা তার জীবন, দর্শন, শিক্ষা ও সাহিত্যিক অবদান পর্যালোচনা করা মানে ইসলামি আধ্যাত্মিকতার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল, দার্শনিক ও নান্দনিক অধ্যায় উন্মোচন করা।
মহান এই মনীষীর পূর্ণ নাম মুহাম্মাদ ইবনে আলি ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আরাবি। উপাধি আবু আবদুল্লাহ হাতিমি। তিনি ১৭ বা ২৭ রমজান ৫৬০ হিজরি মোতাবেক ২৭ জুলাই ১১৬৫ খ্রিষ্টাব্দে আন্দালুসের মুরসিয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার আরব বংশোদ্ভূত, যারা ইসলামি বিজয়ের প্রারম্ভিক যুগে আন্দালুসে বসতি স্থাপন করে।
তার পিতা মুরসিয়ার শাসকের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিলেন। তবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে মুরসিয়া যখন মুওয়াহহিদিনদের দখলে যায়, তখন ইবনুল আরাবির বয়স মাত্র আট বছর। পরিবারটি তখন বাধ্য হয়ে ইশবিলিয়া (বর্তমান সেভিয়া) শহরে স্থানান্তরিত হয়। সেখানেই ইশবিলিয়াতেই তার বেড়ে ওঠা। প্রাথমিকভাবে তার সামরিক বাহিনীতে যোগদানের পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু এক স্বপ্ন তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
ইতিহাসকারদের বর্ণনা অনুযায়ী, ইবন আরাবি এক রাতে স্বপ্নে দেখেন—একজন রাজপুত্র অবমাননাকর অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন। এই স্বপ্নের পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, তার জীবন হবে সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর প্রতি নিবেদিত। তখন তার বয়স ছিল প্রায় ২০ বছর।
ইবনে আরাবি পরে মক্কা মুকাররমায় হিজরত করেন, যেখানে তিনি প্রায় দুই বছর অবস্থান করেন। এরপর তিনি হজযাত্রী কাফেলার সঙ্গে তুরস্কের কুনিয়া শহরে যান, সেখান থেকে বাগদাদে সফর করেন। পরে বাগদাদ ছেড়ে তিনি দামেস্কে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন, এবং সেখানেই তিনি প্রায় ১৭ বছর জীবন কাটান।
ছবি: ইবনুল আরাবির জীবনের একটি অংশ কেটেছিল আন্দালুসে ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষা ও পরিবারইবনুল আরাবি আন্দালুসের খ্যাতিমান আলেমদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি কোরআন, হাদিস, ভাষাবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, ফিকহ, দর্শন ও বিশ্বতত্ত্বে অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করেন। তার আধ্যাত্মিক প্রতিভা ও জ্ঞানের গভীরতার জন্য তাকে পরবর্তীকালে ‘আশ-শাইখুল আকবর’ উপাধি প্রদান করা হয়। তার স্ত্রী মারিয়াম বিনতে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুর রহমান আল-বাজ্জানি ছিলেন একজন ধার্মিক ও জ্ঞানী নারী, যিনি তার আধ্যাত্মিক যাত্রায় সহযোগী হিসেবে পরিচিত।
ভ্রমণ ও আধ্যাত্মিক সাধনাইবনুল আরাবি ছিলেন অত্যন্ত ভ্রমণপ্রিয় ও অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তি। তার জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে সফর ও গবেষণায়। এসব ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য ছিল জগৎ ও সত্য সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি অর্জন করা এবং প্রখ্যাত আলেম ও সুফি ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা।
মারুর সফর ছিল ইবনে আরাবির জীবনের প্রথম দিকের সফরগুলোর একটি। তিনি গিয়েছিলেন মারুর শহরে, যেখানে বসবাস করতেন খ্যাতনামা সুফি ও আলেম শায়খ আব্দুল্লাহ আল-মারুরি। ইবন আরাবি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী ছিলেন, কারণ তিনি চেয়েছিলেন তাসাওউফের মূলনীতি ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের ভিত্তি তাঁর কাছ থেকে অর্জন করতে। এই সফর তার আধ্যাত্মিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হয়।
পরবর্তী সময়ে ইবনে আরাবি ভ্রমণ করেন আন্দালুসের গ্রানাডা শহর, যেখানে তিনি সাক্ষাৎ করেন শায়খ আবু মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আশ-শাক্কাজের সঙ্গে। এই আলেম ছিলেন গ্রানাডার বাঘা অঞ্চলের অধিবাসী এবং ইসলামী জ্ঞানে, বিশেষ করে আকিদা ও ফিকহে অত্যন্ত পারদর্শী। ইবনে আরাবি তার কাছ থেকেও ধর্মীয় জ্ঞানের বহু গভীর দিক শিখেছিলেন।
ইবনুল আরাবির বিখ্যাত সফর ছিল আল-কুদস (জেরুসালেম) সফর। তিনি সেখানে গিয়েছিলেন বায়তুল মুকাদ্দাস পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে। এই সফরের ফলস্বরূপ তিনি রচনা করেন তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আল-ইসরা ইলা মাকামিল আসরা’। এই ভ্রমণের লক্ষ্য ছিল, ‘আহলে উজুদ ও আহলে তাহকিক’-এর সন্ধান করা। অর্থাৎ সেই সব মহান সুফি ব্যক্তিত্বদের খোঁজ নেওয়া যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অনুসন্ধানে। ইবনে আরাবির এসব সফর শুধু ভৌগোলিক ভ্রমণই ছিল না, বরং ছিল জ্ঞান ও আত্মিক উপলব্ধির যাত্রা। তার প্রতিটি সফরই তাকে নতুন আধ্যাত্মিক দিগন্তে পৌঁছে দিয়েছে, যা পরে তার রচনাগুলোতে গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
মাজহাব ও আকিদাফকিহদের অনেকেই মনে করেন, ইবনুল আরাবি ফিকহের ক্ষেত্রে জাহিরি মাজহাব অনুসরণ করতেন। তবে তার আকিদা ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি মূলত তাসাউফ বা সূফীবাদের গভীর চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত। তিনি যুহদ (দুনিয়া থেকে অনাসক্তি) ও তাসাউফ—এই দুই পথকেই সত্যের অন্বেষণ ও পরম সুখ অর্জনের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করতেন।
তার মতে, আদর্শ মানুষ সেই, যিনি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধির মাধ্যমে ধর্মের মূলসত্তা অনুধাবন করতে পারেন। ধর্মীয় মতবাদ বা মাজহাবের পার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি আল্লাহর প্রেম ও মানবতার ঐক্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
ছবি: ইবনুল আরাবির রচিত ‘আদ-দাওরুল আ’লা’র প্রথম পৃষ্ঠা ছবি: সংগৃহীত
চিন্তা ও দর্শনইবনুল আরাবির দার্শনিক চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু হলো ‘ওয়াহদাতুল উজুদ’ বা ‘সত্তার ঐক্য’। তার মতে, সৃষ্টির অস্তিত্ব আল্লাহর অস্তিত্বের প্রতিফলনমাত্র। আল্লাহই একমাত্র সত্য সত্তা, আর জগতের সবকিছুই তাঁর প্রকাশ।
তিনি কালিমাতত্ত্বের মাধ্যমে স্রষ্টা ও সৃষ্টির সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেন। তার মতে, মানুষ হচ্ছে আল্লাহর ‘সম্পূর্ণ প্রতিফলন’ অর্থাৎ, মানুষের মধ্য দিয়েই আল্লাহর গুণাবলির প্রকাশ ঘটে। তাই মানুষের অস্তিত্ব স্রষ্টার জ্ঞান ও ইচ্ছা প্রকাশের বাহন।
তার দর্শনে কোরআনকে একটি ‘মহাজাগতিক বার্তা’ হিসেবে দেখা হয়েছে, যা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অন্তর্গত অর্থ ও কাঠামো উন্মোচন করে। এই কারণে তিনি বিশ্বজগতকেই এক অর্থে ‘জীবন্ত কোরআন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
রচনা ও গ্রন্থনাইবনুল আরাবি অসংখ্য মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন। এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো: ১. আল-ফুতুহাতুল মাক্কিয়্যাহ, এটি তার সর্ববৃহৎ দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক বিশ্বকোষ। ২. ফুসূসুল হিকাম, এটি সূফীতত্ত্ব, নবুওয়াতের দর্শন এবং ওয়াহদাতুল উজুদ নিয়ে গভীর বিশ্লেষণধর্মী রচনা। ৩. আল-ওয়াসায়া, এটি উপদেশমালা, যেখানে তিনি নৈতিক জীবন, ইবাদত ও আত্মশুদ্ধির দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ৪. শাজারাতুল কাওন, মহাবিশ্বের সত্তাগত বাস্তবতা ও মানব অস্তিত্বের দর্শন নিয়ে লিখিত একটি গ্রন্থ।
সমালোচনা ও বিতর্কইবনুল আরাবি তার চিন্তাধারা ও আকিদার জন্য বহু সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। ইমাম আবু হামিদ গাজালি (রহ.) ইবনুল আরাবির অনেক বিষয়ে বিরোধী ছিলেন। তার মতে, আল্লাহকে আকল বা বুদ্ধির মাধ্যমে জানা উচিত, যেখানে ইবনুল আরাবির মতে আল্লাহকে জাওক বা ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে জানা উচিত।
ইবনুল কাইয়্যিম আল-জাওযিয়্যা মনে করতেন, ইবনুল আরাবির হুলুল, ইত্তিহাদ এবং ওয়াহদাতুল উজুদ ধারণাগুলো প্রয়োগ করা অসম্ভব। তিনি আল্লাহ তা'আলার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ভিন্ন পথের প্রস্তাব করেন।
ইবনুল আরাবির কিছু উক্তিমুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবীর বাণীগুলো শুধু আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রতিফলন নয়, বরং মানবমন ও ইমানের গভীরতম স্তরে স্পর্শ করে। তার প্রতিটি উক্তি জীবনের বাস্তবতা, প্রেম, নৈতিকতা ও আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কের এক অনন্য দার্শনিক ব্যাখ্যা। নিচে তাঁর কয়েকটি নির্বাচিত উক্তি তুলে ধরা হলো:
মিলনের আকাঙ্ক্ষা মিটে যায় মিলনের মাধ্যমে, কিন্তু মিলনের পরেও আকাঙ্ক্ষা বিরাজ করে। যে বিচ্ছেদ নিয়ে কল্পনা করে, সে মিলনের সময়ও তা অব্যাহত রাখে, ফলে সে বঞ্চিত হয়। যে বলে কঠিনকে সহজ করো, আমরা বলি, দুনিয়ার সব কঠিনকে সহজ করা যায় না। এটি (আকাঙ্ক্ষা) প্রেমের একটি গুণ, অন্য কিছুর নয়; আর প্রেম হলো হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা এক রোগ। যদি তুমি কোনো স্থানে আল্লাহর নাফরমানি করো, তবে সেই স্থান ত্যাগ করো না যতক্ষণ না তুমি সেখানেই একটি আনুগত্যের কাজ ও ইবাদত সম্পাদন করো। কারণ, নাফরমানি যেমন তোমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে, তেমনি ইবাদত তোমার পক্ষে সাক্ষ্য দেবে। এরপর তুমি সেই স্থান থেকে সরে এসো। সর্বাবস্থায় তোমার রবের প্রতি উত্তম ধারণা পোষণ করো এবং খারাপ ধারণা পোষণ করো না। কারণ, তুমি জানো না—তোমার প্রতিটি নিশ্বাসে তোমার শেষ সময় উপস্থিত হয়েছে কিনা, ফলে তুমি যদি মৃত্যু বরণ করো তবে যেন তার প্রতি উত্তম ধারণা নিয়েই করো, মন্দ ধারণা নিয়ে নয়।মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি ইসলামী ইতিহাসের এক অনন্য দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক চিন্তাবিদ। তিনি তাসাউফকে শুধু অনুভূতির জগতে সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং তাকে যুক্তি ও দর্শনের স্তরে উন্নীত করেছেন। তার চিন্তা, বিশেষত ওয়াহদাতুল উজুদ, পরবর্তী শতাব্দীগুলিতে সুফীবাদ, ইসলামি দর্শন এবং বিশ্ব-আধ্যাত্মিকতায় গভীর প্রভাব ফেলেছে।
যদিও তার মতবাদ বিতর্কিত, তবুও ইসলামি বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসে তার অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ইবনুল আরাবি একাধারে ছিলেন চিন্তক, মরমি, কবি ও জ্ঞানান্বেষী—যিনি আজও সত্য ও আত্মিক জাগরণের পথে এক অনন্য প্রেরণাস্বরূপ।
ছবি: দামেশকে অবস্থিত ইবনুল আরাবির মাজার ছবি সংগৃহীত
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার১২৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১০ নভেম্বর সিরিয়ার দামেশকে ইবনুল আরাবি মৃত্যুবরণ করেন। তার কবর দামেশকের সালেহিয়া এলাকায় অবস্থিত। মৃত্যুর পরও তার রচনাবলি ও সুফিতত্ত্ব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এবং ইসলামি দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক চিন্তাধারায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি ছিলেন এক অনন্য সুফি সাধক, যার চিন্তাধারা ও দর্শন আজও ইসলামি দুনিয়ায় আলোচিত হয়। তার ‘ওয়াহদাতুল উজুদ’ তত্ত্ব আধ্যাত্মিক জগতে এক নতুন ভাবধারা সৃষ্টি করেছে। তার রচনা দর্শন ও জীবনচরিত আমাদের আত্মার বিশুদ্ধি ও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের প্রতি অনুপ্রাণিত করে।
তথ্যসূত্র: ফারুক আব্দুল মুতী, মুহিউদ্দিন ইবনু আরাবি, পৃষ্ঠা ২৭, ৫৪, ৭৭, ৭৯। আল-মাওসূআতুল তারিখিয়্যাহ, আদ-দুরার আস-সুন্নিয়্যাহ। তালিব জাসিম হাসান আল-আনজি, ওয়াহদাতুল উজুদ ইনদা মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি : পৃষ্ঠা ৬। হাইছাম সারহান, রিহলাতু মুহিউদ্দিন ইবনু আরাবি : পৃষ্ঠা ১১৫-১১৭। তাহমীলু কিতাবিল ওয়াসায়া, ফাওলা বুক। ক্বিরাআতু কিতাবি ফুসূসিল হিকাম তালীফু মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি। তাহমীলু কিতাবি শাজারাতিল কাওন। মুসাদদাক খাদীজা আস-সাইয়িদ উমর, তাবীলুন নাসসিল কুরআনিয়্যি ইনদা ইবনুল আরাবি মিন খিলালি তাফসীরিহি : পৃষ্ঠা ৪০৬, ৪০৯, ৪১৩। মুহিউদ্দিন ইবনু আরাবি, আল-ওয়াসায়া : পৃষ্ঠা ১৫, ১৬।(মাওযু ডট কম অবলম্বনে)
ওএফএফ/জেআইএম