শীতে বাগান করা অনেকেরই শখ থাকে। তাই শীতের আগেই প্রায় এক মাস আগে থেকে ঋতুকালীন ফুলের জন্য চারা তৈরি বা লাগানোর ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। গাঁদা এমন একটি ফুল, যা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। তবে শীত থেকে বসন্ত পর্যন্ত গাঁদার ফুল ফোটার মৌসুম সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ে। এ সময়ে গাছ ভরে যায় ঝলমলে, উজ্জ্বল ফুলে, যা প্রায় মার্চ পর্যন্ত টিকে থাকে। গাঁদা শুধু আপনার বাড়ির সৌন্দর্যই বাড়ায় না, এটি চারপাশে তৈরি করে এক মনোরম, প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল পরিবেশ তৈরি করে।
গাঁদা ফুলের গাছ লাগানোর জন্য খুব বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। ন্যূনতম যত্ন ও সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করলেই আপনার বারান্দা রঙিন ফুলে সাজাতে পারবেন। যদি মৌসুমজুড়ে অনেক ফুল পেতে চান, তাহলে গাঁদা গাছের যত্ন নেওয়ার সঠিক উপায় জানা খুবই জরুরি।
আসুন জেনে নেওয়া যাক গাঁদা ফুলের গাছের যত্ন নেবেন যেভাবে-মাটিগাঁদা গাছ লাগানোর সময় মাটির সঠিক প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাটির সঙ্গে ভার্মি কম্পোস্ট মেশাতে হবে এবং পানি জমে না যেন, তার জন্য কিছু বালি যুক্ত করা ভালো। এই মিশ্রণ ঠিকমতো না হলে গাছ ভালোভাবে ফুল দেবে না।
পানিগাঁদা গাছের তেমন বেশি পানির প্রয়োজন হয় না। শীতে বেশি পানি দেওয়া উচিত নয়। একদিন পর পর টবে হালকা পানি দেওয়া যথেষ্ট। অতিরিক্ত পানি দিলে ফুল কমতে পারে এবং মাটিতে পানি জমলে গাছের গোড়া পচে যেতে পারে। তাই মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে তবেই পানি দেওয়া ভালো।
রোদগাঁদা গাছকে সবসময় এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে সূর্যালোক থাকে। এই গাছকে কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা রোদে রাখতে হবে। ছায়ায় গাছ রাখা যাবে না।
সারচমৎকার ফুল পেতে চাইলে সার দিতে হবে গাছে। শুকনা কলার খোসা ছোট টুকরা করে কেটে নিন। এর সঙ্গে মেশান শুকনো ডিমের খোসা। এই দুই উপাদানের সঙ্গে গোবর সার কিংবা ভার্মি কমপোস্ট সার মিশিয়ে টবের মাটিতে মিশিয়ে দিন। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম মিলবে এই সার থেকে। গাছে প্রচুর কুঁড়ি আসবে ফুল আসবে সারটি প্রয়োগ করলে।
পোকার আক্রমণকোনো কারণে গাঁদা গাছ পোকামাকড়ের শিকার হলে গাছে নিম তেল ও সাবান গুড়া স্প্রে করতে পারেন। এছাড়া প্রায়ই মিলিবাগের আক্রমণ হয়। সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকা দরকার। তবে রাসায়নিক কীটনাশক স্প্রে করতে যাবেন না। ফুলের ভালো পরাগায়নের জন্য গাঁদা চারাগাছের আশপাশের টবে সবজি গাছ লাগাতে পারেন।
সূত্র: দ্য স্প্রুস, গার্ডেন ডিজাইন
আরও পড়ুনঘর পরিপাটি রাখার ১৫ মিনিট রুটিন পরিকল্পিত এলাকায় বসবাস করাকে গুরুত্ব দেবেন যে কারণে
এসএকেওয়াই/জিকেএস