এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি আবারও আলোচনায় এসেছেন। তবে এবার কোনো সিনেমা নয়, বরং পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিয়ে খবরের শিরোনামে তিনি। এবার তিনি এনেছেন তাকে হত্যার হুমকির অভিযোগ। নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কাতেও ভুগছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী।
পারিবারিক বিরোধ ও সম্পত্তি সমস্যাকে কেন্দ্র করে তাকে পরপর হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পপি। আরও পড়ুনশেষ দিন হতে পারত: ভূমিকম্পের পর বললেন ফারুকীজানুয়ারিতে ঢাকায় ৭৫ দেশের ২৫০ ছবি নিয়ে উৎসবভূমিকম্পের সময় চলছিল শাকিবের শুটিং, আতঙ্কিতদের যা বললেন তিনি
তিনি জানান, তার চাচাতো বোন জামাই তারেক আহমেদ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে তাকে হুমকি দিয়ে আসছেন। গণমাধ্যমে তিনি নিশ্চিত করেন, বছর খানেক ধরে চলা এই ভয়-ভীতি এখন এতটাই বেড়েছে যে নিকট আত্মীয়ের মৃত্যুসংবাদ শুনেও তিনি বাড়ি যেতে পারেননি। খুলনায় গেলেই নায়িকা পপিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন তারেক।
পপির ভাষ্য, ‘১৯ নভেম্বর বড় চাচা কবির হোসেন মারা গেছেন। খবর শুনে খুলনা যাওয়ার প্রস্তুতি নিই। বিষয়টি জানতেই তারেক ফোন করে জানায়, সেখানে গেলেই আমাকে মেরে ফেলবে। নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে যেতে পারিনি।’
পপির দাবি, ২০০৭ সালে চাচা কবির হোসেনের কাছ থেকে তিনি জমি কেনেন। দলিল থাকা সত্ত্বেও তিনি সেই জমির দখল পাচ্ছেন না। অভিযোগ রয়েছে, জমিটি দখল করে রেখেছেন তার চাচাতো বোন মুক্তা ও তার স্বামী তারেক। জমি ভোগ করতে গেলেই নানা ভয় দেখানো হয়।
এ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আগের সরকারে আওয়ামী লীগের কিছু স্থানীয় নেতাকে ব্যবহার করে আমাকে হয়রানি করা হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর এখন বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে একই হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তারেক। সে স্পষ্ট বলেছে, খুলনায় গেলে জীবিত ফিরতে পারব না আমি।’
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে তারেক আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমে কোনো কথা বলেননি।
চিত্রনায়িকা পপি বর্তমানে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগে রয়েছেন। তিনি প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের জুলাই মাসে অভিযুক্ত তারেকের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ আনেন পপির আরেক চাচা মিয়া বাবুল হোসেন। আপন ভাইজি জামাই ট্রাস্ট ব্যাংকে কর্মরত তারেক আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনও করেন তিনি।
এলআইএ/এমএস