চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘লাগা’ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টায় এ আগুন লাগে। তবে সত্যিকার আগুন নয়। বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপণ কাজে নিয়োজিত জনবল, যানবাহন ও ইকুইপমেন্ট এর কার্যকারিতা ও সক্ষমতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে বিমানবন্দরের কার্গো ওয়ার হাউস সংলগ্ন স্থানে মাঝারি স্কেলের এক অগ্নিনির্বাপণ মহড়ায় এ আগুন নির্বাপণের দৃশ্য দেখানো হয়।
এতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফায়ার শাখা, বিমানবন্দর এভসেক, এপিবিএন, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, নৌ বাহিনী, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিম, বিমানবন্দরের মেডিকেল টিমসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা অংশ নেন।
ফায়ার মহড়ায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর, বিমানবন্দরের স্যাটো সাধন কুমার মহন্ত, সহকারী পরিচালক (ফায়ার) আব্দুল্লাহ আল মমিনসহ বিমানবন্দরের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মহড়ায় দেখানো ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দৃশ্যে দেখানো হয়- বিমানবন্দরের কার্গো ওয়ার-হাউস সংলগ্ন স্থানে থাকা পরিত্যক্ত ময়লাতে আকস্মিক ধরে যাওয়া আগুন মুহূর্তের মধ্যে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার উপক্রম হয়। এসময় বিমানবন্দর কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে আগুন লাগার খবরটি জানানো হলে দ্রুত বিমানবন্দর ফায়ার টিম, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, নৌ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ঘটনাস্থলে এসে অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জাগো নিউজকে বলেন, শাহ আমানত এয়ারপোর্টের অগ্নি নির্বাপণ কাজে নিয়োজিত জনবল, যানবাহন ও ইকুইপমেন্ট এর কার্যকারিতা ও সক্ষমতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে একটি মাঝারি স্কেলের মহড়া চালানো হয়েছে। বিমানবন্দরের কার্গো ওয়ার হাউস সংলগ্ন স্থানে অগ্নি নির্বাপণ মহড়া চলে। সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক সম্পন্ন হয়েছে। আগুনেও মহড়ার স্ক্রিপ্ট সময় অনুযায়ী নির্বাপণ করা হয়।
এমডিআইএইচ/এমআরএএইচ/এমএএইচ/এমএস