মাদক সমস্যা সমাধানে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে শনিবার দেয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মাদক সমস্যা সমাধানে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, পিতা-মাতা, অভিবাবকসহ সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে আরো এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে খুশি হন এবং এ উপলক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ক্রোড়পত্র ও স্যুভেনির প্রকাশের উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি।প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বর্তমানে একটি বৈশ্বিক সমস্যা। মাদকের চোরাচালান ও অপব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা ও দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়। মাদকের করাল গ্রাস থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা বিশেষ করে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।তিনি বলেন, ‘আমরা এ সংক্রান্ত আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ নিশ্চিত করেছি। মাদক অপরাধ দমনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সামর্থ্য বহুগুণে বৃদ্ধি করেছি। মাদক অপরাধ দমনের পাশাপাশি মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও মাদকের চাহিদা হ্রাসে মাদকবিরোধী গণসচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রেও আমাদের সরকার ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’মাদকাসক্তির প্রধান শিকার তরুণ ও যুব সমাজ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, নেশার কবলে পড়ে লাখ লাখ তরুণ কর্মশক্তি, মেধা ও সৃজনশীলতা হারিয়ে ফেলে, যা যেকোনো দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। সুস্থ ও সুন্দর পারিবারিক পরিবেশ, মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনের দায়িত্বশীল আচরণ, যত্ন, সহানুভূতি এবং ধর্মীয় অনুশাসন মাদকের ভয়াল থাবা থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে পারে। তিনি বলেন, মাদকাসক্তিমুক্ত পরিবেশে তরুণদের মেধা ও সৃষ্টিশীলতাকে লালন করতে তার সরকার দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাদকবিরোধী কমিটি গঠন এবং মাদকবিরোধী সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি পালনের নির্দশনা দিয়ে সরকারি আদেশ জারি করেছে।এ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।একে/এবিএস