দিনাজপুরে মহাসড়কে গাড়ি পুড়ানোর ঘটনায় তিনটি পৃথক মামলা হয়েছে। মামলায় ৪শ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং মহিলাসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শুক্রবার দিনাজপুরের কাহারোল, বীরগঞ্জ ও চিরিরবন্দর থানায় এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। কাহারোল থানায় ট্রাক চালক রিপন মিয়া, বীরগঞ্জ থানায় ট্রাক চালক মফিজ উদ্দীন ও চিরিরবন্দর থানায় ট্রাক চালক শিবু সরকার বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেন।এর আগে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের কাহরোল উপজেলার কান্ত নগর মোড়ে বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাক জ্বালিয়ে দেয় অবরোধকারীরা। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ট্রাক চালক রিপন মিয়া বাদী হয়ে কাহারোল থানায় ১৩ জনের নাম দিয়ে ২শ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।একই দিন দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের বীরগঞ্জ উপজেলার পৌর শহরে ট্রাক জ্বালিয়ে দেয় অবরোধকারীরা। এই ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে ট্রাক চালক মফিজ উদ্দীন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ১শ জনের বরুদ্ধে বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে।এদিকে দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের চিরিরবন্দর উপজেলার রানীর বন্দরে বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাক জ্বালিয়ে দেয় অবরোধকারীরা। এই ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে চিরিরবন্দর থানায় ট্রাক চালক শিবু সরকার বাদী হয়ে ২৩ জনের নাম দিয়ে শতাধিক লোকের নামে মামলা দায়ের করে।মামলা দায়েরের পর বীরগঞ্জ চিরিরবন্দর থানা পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের ভোগনগর গ্রামের রেজ্জাক আলীর ছেলে সেলিম (৩৩) ও হাফেজ জসিম উদ্দিন (৩০) চাউলিয়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে হাফেজ আব্দুসস সাত্তার (৩১) ও সিরাজুল ইসলাম (২৯), চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর বালাপাড় গ্রামের মৃত কলি মোহাম্মদের ছেলে তসলিম উদ্দীন (৫২), ইনসান আলীর ছেলে রাজিউল ইসলাম রাজু (২৫), রবিউল ইসলাম (২৮) এবং নশরতপুর সুইহারী বাগান এলাকার মকবুল মুন্সির স্ত্রী মোনয়ারা বেগম (৪৫)।কাহরোল থানা পুলিশের ওসি পৃথিব কুমার সরকার, বীরগঞ্জ থানার ওসি কেএম শওকত হোসেন ও চিরিরবন্দর থানার ওসি রওশন মোস্তফা মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।