দেশজুড়ে

রাজস্ব আদায়ে ছন্দে ফিরেছে টেকনাফ স্থলবন্দর

রাজস্ব আদায়ে আবারো ছন্দে ফিরেছে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর। চলতি অর্থ বছরের তৃতীয় মাসে (সেপ্টেম্বর) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ৭৬ লাখ টাকা বেশি আদায় করা হয়েছে। এবার মোট ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত অর্থ বছরের শেষ তিন মাস রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ করতে পারেনি বন্দর শুল্ক বিভাগ। যা চলতি বছরের প্রথম মাসেও ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় মাস থেকে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ছন্দে ফিরে আসে দেশের দক্ষিণ সীমান্তের এক মাত্র বন্দরটি।   বন্দর শুল্ক বিভাগ সূত্র জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি অর্থ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। এ মাসে মিয়ানমার থেকে ১৫ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার ৪৫১ টাকার পণ্য আমদানি করা হয়। এসব পণ্যের বিপরীতে ১৫৩টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৩৮ হাজার ৩১৩ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৬ লাখ ৩৮ হাজার ৩১৩ টাকার বেশি রাজস্ব আদায়। অপরদিকে, ৪০টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে মিয়ানমারে ১ কোটি ১০ লাখ ৩২ হাজার ৯৯ টাকার মালামাল রফতানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।তাদের হিসাব মতে, সেপ্টেম্বরে মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ৮৫৩টি গরু, ৫৫০টি মহিষ ও ২৯টি ছাগল আমদানি করে সরকার ১২ লাখ ৭ হাজার ৩০০ টাকা রাজস্ব আয় করেছে।  সূত্র মতে, প্রতি বছর মিয়ানমার থেকে শত কোটি টাকার পণ্য আমদানি হলেও বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানি হয় অল্প। ফলে আমদানি-রফতানিতে একটি ঘাটতি রয়ে যায়। তাই মিয়ানমারে রফতানি বৃদ্ধিতে সে দেশে বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারে আট সদস্যের একটি বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল টেকনাফ স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশ সফরে আসেন। দীর্ঘদিন পর মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও অন্যান্য দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার বিষয়ে তারা কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিনিধি ও সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনায় মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রাচীন সর্ম্পক জোরদার করে সীমান্ত বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিরাজমান বাধা দূরীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সুদৃঢ় ঐকমত্য ঘোষণা করে দুইপক্ষ। টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো. আব্দুল মন্নান জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসে কুরবানির ঈদের বন্ধ ও বৈরি আবহাওয়ার মাঝেও মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা থাকায় মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে। তবে সীমান্ত বাণিজ্য স্বাভাবিক ও গতিশীল রাখতে হলে আমদানির পাশাপাশি রফতানিও বাড়ানো দরকার বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন শুল্ক কর্মকর্তা। সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/এবিএস