একুশে বইমেলা

বিক্রি বেড়েছে বইমেলায়

অমর একুশে বইমেলা ২০১৫-এর ২৩তম দিন পার করলো সোমবার। প্রতিবছরের মতোই এবছরও মেলা উপলক্ষে হাজার খানেক নতুন বইয়ের আগমন ঘটেছে বাংলা সাহিত্যে। প্রতিষ্ঠিত লেখকদের নতুন ও পুরাতন বইয়ের নতুন সংস্করণের সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন লেখকও।বইমেলার ২৩তম দিন নতুন বই এসেছে ৯৯টি। মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে ১১টি নতুন বইয়ের। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা প্রাঙ্গণে আগত পাঠকদের মধ্যে আজ (সোমবার) যেন কোন তাড়া নেই। মেলায় ঘুরছেন, বই দেখছেন, কিনছেনও। মেলার বিভিন্ন বইয়ের দোকানে কথা বলে জানা যায়, মেলার প্রথমার্ধের চেয়ে এখন বিক্রি কিছুটা বেশি। তাদের মতে মেলার শেষ সপ্তাহে যারা মেলায় আসেন তারা বেশির ভাগ বই কিনতেই আসেন।মেলা প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেভাল আর্কিটেকচার বিভাগের চতুর্থ বিভাগের ছাত্র বাপ্পি বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কঠিন বিষয় পড়ার অবসরে অন্য বই পড়লে রিফ্রেশ লাগে। তাই বই পড়ি। মেলা থেকে মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি’র মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বরূপ এবং রফিকুন নবী’র টেরাডোকটাইল কিনেছেন বলেও জানান তিনি।আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তানভির বলেন, বইয়ের আসলে কোন বিকল্প নেই। লেখাপড়ার অবসরে যা কিছু করি না কেন, বই পড়লে ভালো লাগে। তাই বই কিনি। আর হুমায়ুন আহমেদ হলে তো কথাই নেই।সময় প্রকাশনীর সামনে বই কেনার আনন্দে ঝলমল করছিলো ছোট্ট মেয়ে নিঝুম। মা, বাবা আর ছোট বোনের সাথে মেলায় এসেছে। নিঝুমের বাবা ডা. রিপন বলেন, আজ (সোমবার) শুধু মেলায় আসবো বলেই অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি। বই পড়ার মধ্যে আলাদা স্বাচ্ছন্দ্য আছে। এখন সময় পাই না। তবে স্ত্রী বই পড়তে ভালোবাসেন। তাই বাচ্চা এবং স্ত্রীর জন্য বই কিনেছি।সময় প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রচিত ‘গাঙচিল’ উপন্যাসটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। তারা বলেন, বর্তমানে এই বইয়ের দশম মুদ্রণ চলছে। প্রায় দশ হাজার বই বিক্রি হয়েছে বলে বিক্রেতারা জানান।ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর লেখা আত্মজীবনীমূলক রচনা ‘নিন্দিত নন্দন’ বর্ধিত সংস্করণ প্রকাশ করেছে শব্দশৈলী। শব্দশৈলী কর্তৃপক্ষ জানায়, এ বছর এটাই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে।সোমবার অমর একুশে বইমেলার নিয়মিত আয়োজনের অংশ হিসেবে বাংলা একাডেমির মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘সবুজপত্রের শতবর্ষ’ শীর্ষক আলোচনা। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আবুল মোমেন। অধ্যাপক গোলাম মুরশিদেএর সভাপতিত্বে আলোচনা করেন ড. ইসরাইল খান এবং আবদুল আলীম।আরএস/পিআর