দেশজুড়ে

নারায়ণগঞ্জের তরুণীকে ভারতে বিক্রি, গ্রেফতার ১

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ময়না বেগম (২২) নামে এক তরুণীকে ভারতের একটি পতিতালয়ে বিক্রি করার অভিযোগে রেজাউল (৪০) নামে এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার সকালে ফতুল্লার তল্লা চেয়ারম্যান রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রেজাউল খুলনার পাইকগাছার চরলতিয়ার শাহজাহান আলীর ছেলে। সে পরিবার নিয়ে ফতুল্লার তল্লা এলাকায় বসবাস করে।  এর আগে রোববার রাতে শহরের ২নং বাবুলাই এলাকার ময়নার ধর্মের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রেজাউল ও তার স্ত্রী সাদিয়া বেগমসহ সাতজনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান জানান, কুমিল্লার মতলব থানার তাফালিং বাজার এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ময়না বেগমের সঙ্গে পূর্ব সম্পর্কের জের ধরে রেজাউলের স্ত্রী তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। ময়নার পারিবারিক অশান্তির কারনে তাকে রেজাউলসহ অন্য আসামিরা অর্থ উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে গত বছরের ২৫ জুন রেজাউলসহ কয়েকজন মিলে যশোর জেলার নড়াইলের রাজিব নামে এক পাচারকারী চক্রের সদস্যের কাছে হস্তান্তর করে। পরে রাজিব যশোর বর্ডার দিয়ে ভারত নিয়ে সেখানকার একটি পতিতালয়ে তাকে বিক্রি করে দেয়। গত ২৫ আগস্ট ময়না ভারতের পতিতালয় থেকে বাংলাদেশে তার ধর্ম সম্পর্কের ভাই বাবু সারোয়ার ও রফিকুল ইসলামের কাছে ফোন করে পাচারের বিষয়টি জানায়। পরে রফিকুল ইসলাম ও বাবু সারোয়ার পাচারকারীদের চাপ সৃষ্টি করলে ময়না বেগমকে ভারতে পতিতালয়ে বিক্রির কথা জানায়। আর বিষয়টি নিয়ে মামলা করলে ময়নাকে ভারত থেকে এনে দিবে না এমন হুমকিও দেয়া হয়। পরে ময়না বেগমকে ভারতে পাচার করে দেয়ার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশকে মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দেন। পরে সেই মামলার ২নং আসামি রেজাউলকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভারতে পাচার হওয়া ময়নার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। শাহাদাত হোসেন/আরএআর/জেআইএম