খেলাধুলা

সানির জোড়া আঘাতে চালকের আসনে বাংলাদেশ

পাকিস্তানের ব্যাটিং পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে (৩৯ তম) আরাফাত সানির জোড়া আঘাতে চালকের আসনে বসেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের  নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হারিস সোহেলের বিদায়ে পর তাকে অনুসরণ করে দ্রুতই ফিরে গেছে আরো দুই ব্যাটসম্যান। ফলে দলটির জন্য চাপ আরো বাড়িয়ে দিলো বাংলাদেশের টাইগাররা। এর মাধ্যমে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রচণ্ড চাপে পড়ল পাকিস্তান দল। রেকর্ড রানের লক্ষ্য বেধে দিয়ে এবার ভালো বোলিং আর ফিল্ডিং দিয়ে পাকিস্তান দলকে চাপে ফেলেছে বাংলাদেশ দল। ব্যাটিং যেমন সাবলীলভাবে শেষ করেছে, এবার বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে ভালো করে ১৬ বছরের অপূরণীয় স্বপ্ন পূরণ দেখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান দল দৃশ্যত চাপমুক্ত মনে হলেও রানের টার্গেট অতিক্রম করাটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে চাপ সরিয়ে পাকিস্তানকে চালকের আসনের বসানোর চেষ্টা করছিলেন হারিস। কিন্তু তাকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচ বানিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেকথ্রু এনে দিলেন তাসকিন আহমেদ। ২৬ বছর বয়সী হারিস সোহেল ১৭টি এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। তার রানের সর্বোচ্চ ৮৫। গড় রান ৩২। নানা দিক বিবেচনায় পাকিস্তান দলের জন্য খুবই নির্ভরযোগ্য ছিলো হারিস। হারিসের বিদায়ের পর আরাফাত সানির জোড়া আঘাতে ফওয়াদ আলম ও সাদ নাসিম ফিরে গেলে ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান। শেষ খরব পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪২ ওভারে ৬ উইকেটে ২২৫ রান। ফিরে গেছেন সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, আজহার আলী, হারিস সোহেল, ফওয়াদ আলম ও সাদ নাসিম। মাঠে আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ওয়াহাব রিয়াজ। এর আগে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে রেকর্ড ১৭৮ রান করে বাংলাদেশ দলকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দেন তামিম ইকবাল। দলকে ২৪৫ রানে পৌঁছে দিয়ে ৪১.৪ ওভারের সময় জুটি ভেঙে সাজ ঘরে ফেরেন তামিম। পরে বাংলাদেশের উইকেট রক্ষক মুশফিকুর রহিমও শতক হাঁকালে বড় সংগ্রহের ভিত তৈরি হয়। এই ভিতের ওপর ভর করে মুশফিকের সাকিব ও সাব্বিরের ঝরো ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে রেকর্ড ৩২৯ রানের পাহাড় দাঁড় করায় টাইগাররা।উল্লেখ্য, প্রথম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় ক্রিকেট দলের গর্বিত স্পন্সর হয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অন্যতম ব্র্যান্ড প্রাণ ফ্রুটো এবং কো-স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ভিশন।এসএ/একে/পিআর