বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প নিশ্চিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে এ শিল্প বিরাট অবদান রাখছে। পর্যটন খাতের স্বীকৃতি হিসেবে সরকার আগামী বছর থেকে খাত সংশ্লিষ্টদের পর্যটন অ্যাওয়ার্ড দেবে।
বুধবার রাজধানীর হোটেল অবকাশে এটিজেএফবি আয়োজিত প্রি-বাজেট ডিসকাসন এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, গত বছর ৯৯ লাখ পর্যটক ডোমেস্টিক ট্যুরিজমে অংশ নিয়েছে। অন্যদিকে তাবেলা সিজার ও হোসিও কুনি হত্যা এবং হলি আর্টিজানের মত ট্যাজেডিকে পেছনে ফেলে বিদেশি পর্যটকের ক্ষেত্রেও আশাব্যঞ্জক উন্নতি ঘটেছে। ৬ লাখেরও বেশি বিদেশি পর্যটক গত বছর বাংলাদেশে এসেছে। কর্মসংস্থান হয়েছিল ২৩ লাখ ৪৬ হাজার, যা মোট কর্মসংস্থানের ৪.১ শতাংশ।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের পূর্বাভাস হচ্ছে, পরবর্তী বছরে এটি আরও ২.৩ শতাংশ বেড়ে এবং গড়ে ১.৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৬ সালে ২৮ লাখ ৯৪ হাজারে পৌঁছাবে।
আলোচনায় অংশ নেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ড. এম এ মান্নান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কর্নেল (অব.) ফারুক খান, বিপিসি’র চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী পিএইচডি, বিটিবির প্রধান নির্বাহী পরিচালক ড. নাসির উদ্দিন, টোয়াব প্রেসিডেন্ট তৌফিক উদ্দিন আহমেদ, ট্রিয়াব প্রেসিডেন্ট খবির উদ্দিনসহ এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন জার্নি প্লাসের সিইও তৌফিক রহমান, নভোএয়ারের এমডি মফিজুর রহমান, আটাবের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আরিফ।
আরএম/জেএইচ