এক মাসের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রাজস্ব আদায় কমেছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪৩ টাকা অর্থাৎ ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ। বুধবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।জানা যায়, নানা কারণে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এপ্রিল জুড়ে ধারাবাহিক দরপতন হয়েছে। যার কারণে স্বাভাবিক লেনদেন কমেছে। ফলে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে ডিএসইতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১১ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার ৪৬২ টাকা। মার্চের তুলনায় এপ্রিলে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪৩ টাকা কম। মার্চে রাজস্ব ডিএসইতে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১১ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার ৪৬২ টাকা।জানা গেছে, শেয়ারবাজারের আদায়কৃত যে রাজস্ব ডিএসই সরকারের কাছে জমা দেয় তা দুই খাত থেকে সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ডিএসইর সদস্য বা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কাছ থেকে এবং উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার বিক্রি থেকে সংগৃহীত।ডিএসইর সদস্য বা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কাছ থেকে মার্চে তুলনায় এপ্রিলে আদায় বাড়লেও কমেছে উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে।এপ্রিলে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ডিএসই ৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬১ হাজার ১৯৬ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা মার্চের তুলনায় ১ কোটি ৬১ লাখ ৬৮ হাজার ৭২৩ টাকা বেশি। মার্চে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৬ কোটি ১৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৭৩ টাকা।উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারধারীদের কাছ থেকে এপ্রিলে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৫১ হাজার ৭২৩ টাকা। যা মার্চে তুলনায় ৪ কোটি ৬ হাজার ২৬৬ টাকা কম। মার্চে ডিএসই উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারধারীদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করেছিল ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮৯ টাকা।আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪, ধারা ৫৩ এর আওতায় ডিএসই ২০১৪-১৫ হিসাব বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সদস্য ব্রোকারেজ হাউজের কাছ থেকে এই রাজস্ব আদায় হয়েছে।এসআই/আরএস/আরআইপি