শেরপুরের ঝিনাইগাতীর আহমদনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার ভারতীয় কিশোর অপহরণকারী আল আমিন আলমের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে উদ্ধার হওয়া ভারতীয় কিশোর ডেগিড বাসাইএমওয়েটকে (১৬) শেরপুর জেলা কারাগারে হেফাজতে রাখার জন্য জেল সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নাহিদ সুলতানা বুধবার বিকেলে রিমান্ড শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (সিএসআই) মো. হামিদ দিয়া।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং থেকে গত শুক্রবার ডেগিড বাসাইএমওয়েট (১৬) নামে এক কিশোর অপহৃত হয়। সে শিলং-এর মেরাইং গ্রামের রিজয় বাসাইএমওয়ের ছেলে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অপহৃত ওই কিশোরকে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার আহমদনগর এলাকা থেকে উদ্ধার ও অপহরণকারী আল আমিন আলমকে (২৮) আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার ঝিনাইগাতী থানার উপ-পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করে আল আমিন আলমকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়েছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম জানান, অপহরণকারী দলের সদস্যরা ওই কিশোরকে অপহরণ করার পর ৬০ লাখ ভারতীয় রূপি মুক্তিপণ দাবি করে। পরে সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ভেতর ঢুকে পড়ে। এ ঘটনাটি শিলং-এর এসপির মাধ্যমে শেরপুরের এসপিকে (পুলিশ সুপার) জানানো হয়।
পরে মোবাইল ট্র্যাকিং করে শুক্রবার রাতে পুলিশের একটি দল অপহৃত ওই কিশোরকে ঝিনাইগাতী উপজেলার আহমদনগর থেকে উদ্ধার করে এবং আল আমিন আলম (৩০) নামে অপহরণকারী দলের এক সদস্যকে আটক করে। আল আমিন আলম ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার ভালুয়াকুড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া কিশোর ডেগিড বাসাইএমওয়েট খাসিয়া ভাষায় কথা বলে। তার সঙ্গে কথা বলার জন্য দোভাষী এনে মূল ঘটনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
হাকিম বাবুল/আরএআর/জেআইএম