জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের জন্য চারটি নতুন বাস পরিবহন পুলে যুক্ত করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। চারটি বাসের মধ্যে তিনটি বাস জবির নিজস্ব অর্থায়নে কেনা হবে। বিআরটিসির ভাড়া বাসের নির্ভরশীলতা কমিয়ে অানার লক্ষে নিজস্ব অর্থায়নে নতুন তিনটি বাস কেনা হচ্ছে।
অপরদিকে কিছুদিন অাগে পরিবহন সংকট নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অর্থায়নে নতুন একটি বাস কেনার জন্য প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিকে অর্ডার দেয়া হয়েছিল। যেটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ বলে জানা গেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ঈদের পরপরই ওই বাসটি পরিবহন পুলে যুক্ত হবে।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির বৈঠকে তিনটি বাস কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। বৈঠক থেকেই টেলিফোনে রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ড্রাস্ট্রিকে নতুন তিনটি বাস নির্মাণের অর্ডার দেয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবহন সংকট চরমে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন সংকট নিরসনে বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাস ভাড়া করে অাসছে শুরু থেকেই। এ খাতে মাসে ২২ থেকে ২২ লাখ টাকা বিআরটিসিকে ভাড়া দিতে হয়। বাস ভাড়া কমিয়ে অানা এবং শিক্ষার্থীদের পরিবহন সংকট নিরসনের বিষয়টি অর্থ কমিটির বৈঠকে উঠে অাসে।
তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির সভাপতি ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান নিজস্ব অর্থায়নে নতুন তিনটি বায়ান্ন সিটের বাস কেনার অভিমত প্রকাশ করেন। সবাই তাতে সম্মতি দিলে নিজস্ব অর্থায়নে বাস কেনার বিষয়টি অনুমোদন লাভ করে।
বাস কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির সভাপতি ও জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, অাজ অর্থ কমিটির বৈঠকে নিজস্ব অর্থায়নে কোটি টাকার ব্যয়ে তিনটি নতুন বাস কেনার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পরপরই প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিকে তিনটি বাস তাদের কাছ থেকে কেনা হবে বলে জানানো হয়েছে। বলতে গেলে অর্ডারই দেয়া হয়েছে।
কবে নাগাদ নতুন তিনটি বাস জবি পরিবহন পুলে যুক্ত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যতদিনে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করে দিতে পারে। স্বাভাবিক মতো কাজ করলে দু মাসের মাথায় প্রগতি অামাদের তা বুঝিয়ে দিতে পারবে। পাশাপাশি তারা অামাদের অারেকটি আগের অর্ডার দেয়া বাস খুব শিগগিরই বুঝিয়ে দেবে। ফলে জবি পরিবহন পুলে চারটি বায়ান্ন সিটের বাস শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্ত হতে যাচ্ছে।’
এসএম/জেডএ/বিএ