দেশজুড়ে

শেরপুরের ৯ স্থানে ঈদ উদযাপিত

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশের সঙ্গে মিল রেখে বিগত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও শেরপুরের ৯ স্থানে আজ পৃথকভাবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব জামাতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও পর্দা করে নামাজে অংশ নেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৮টা থেকে ১০ টার মধ্যে পৃথক এসব স্থানে মুসল্লিরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। প্রত্যেকটি ঈদের জামাতে ৪০ থেকে ৬০ জন করে লোক অংশ নেয়। নামাজের পর পারস্পরিক কোলাকোলি শেষে তারা অংশ নেন প্রীতিভোজে।

শেরপুর সদরের উত্তর ও দক্ষিণ চরখারচর, মুন্সীরচর, বামনের চর, গাজীরখামার গিদ্দা পাড়া গ্রামে পৃথকভাবে ঈদের আগাম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী মধ্যপাড়া গ্রামে নারী-পুরুষের মাঝখানে পর্দা দিয়ে একসাথে অনুষ্ঠিত হয় ঈদ জামাত। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল মোতালেব।

একই উপজেলার গোবিন্দনগর চিনামারা গ্রামে আরও একটি আগাম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুফতি হাফিজুল ইসলাম ইমামতি করেন।

তিনি বলেন, আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদের নামাজ আদায় করে থাকি।

নকলা উপজেলার চরকৈয়া গ্রামেও ঈদের আগাম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ঈদ জামাতে ইমামতি করেন মো. সারোয়ার জাহান। এখানে নারীরাও ঈদের নামাজে অংশ নেন। ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল গ্রামে আরও একটি আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

বিগত কয়েক বছর যাবত শেরপুরের এসব এলাকায় নিজেদের সুরেশ্বর দরবার শরিফের মুরিদান ও পীরভক্ত বলে দাবীদার কিছু লোক সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে দুই ঈদ ও রমজানের রোজা পালন করে আসছেন।

হাকিম বাবুল/এফএ/জেআইএম