শেরপুরে গৃহবধূ আশরাফুন্নাহার লোপাকে নির্যাতনের মামলায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিনুল ইসলাম সুজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ঘটনাটির বিভাগীয় তদন্ত চলছে। ডিএমপির পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম সোহাগ মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের জানিয়েছেন, মামলার বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরই শাহিনুল ইসলাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।
এদিকে আদালত সূত্রে জানা যায়, দায়রা জজ আদালতেও জামিন হয়নি এসআই শাহিনুল ইসলাম সুজনের। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ক্রিমিনাল মিস কেসমূলে এসআই শাহিনের জামিন শুনানিকালে প্রকাশ পায়। ওই মামলায় ইতোমধ্যেই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। পরে বিচারক কিরণ শংকর হালদারের নির্দেশে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. আল আমিন তার আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আদালতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিম্ন আদালতে মূল নথি না থাকায় মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে ২ আগস্ট।
তিনি বলেন, আগামী ২ আগস্টের আগে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলি হওয়ার সুযোগ নেই এবং বদলি হওয়া ছাড়া এসআই শাহিনের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে গিয়ে জামিন চাওয়াও সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, শেরপুর শহরের দমদমা মহল্লার আশরাফুন্নাহার লোপার সঙ্গে পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহিনুল ইসলাম সুজনের বিয়ে হয়। শ্রীবরদী উপজেলার গড়জরিপা ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহিনুল ইসলাম সুজন বর্তমানে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটে কর্মরত।
গত ২২ মে রাতে ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূ লোপার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন।
এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় ৫ জুন উপ-পরিদর্শক শাহিনসহ পরিবারের আরও ৪ সদস্যকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়।
হাকিম বাবুল/এএম/আরআইপি