শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্দা গ্রামে শ্যালিকাকে হত্যার দায়ে ভগ্নিপতিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভগ্নিপতির নাম রণজিত চন্দ্র দাস (৪৬)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার ধোপাগেছেন গ্রামের মৃত কেশব চন্দ্র দাসের ছেলে।
শেরপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন সোমবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু মামলার নথির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে জানান, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্দা গ্রামের মনেন্দ্র দাসের মেয়ে রানু রানী দাসকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করে আসছিল রণজিত।
গত ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পারিবারিক কলহের জের ধরে রণজিত দা দিয়ে কুপিয়ে তার শ্যালিকা চানবালা রানী দাসকে (৩৩) গুরুতর আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই দিনই চানবালা মৃত্যুবরণ করেন।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা মনেন্দ্র দাস বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা করেন। ঘটনার পরের দিন পুলিশ আসামি রণজিত চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করে। মামলাটি তদন্ত শেষে ঝিনাইগাতী থানার তৎকালীন এসআই রফিকুল ইসলাম তালুকদার ২০১২ সালের ২ মে আসামি রণজিত চন্দ্র দাসকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
একই আদালত একই দিন জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শেরপুর সদর উপজেলার পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামে ২০০৯ সালের ১২ জানুয়ারি সকালে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কৃষক নিজাম উদ্দিনকে (৫০) হত্যার দায়ে আবেদ আলী (৪১) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।
শেরপুর সদর উপজেলার সিরাজ আলীর ছেলে দণ্ডপ্রাপ্ত আবেদ আলী পলাতক রয়েছে। এ মামলার অপর ৭ আসামিকে আদালত খালাস দেন।
হাকিম বাবুল/এএম/এমএস