দেশজুড়ে

মাগুরার কাত্যায়নী উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ বাহুবলীর মূর্তি

ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার শুরু হবে মাগুরার ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী উৎসব। পূজা চলবে ৫ দিন। মেলা চলবে এক মাস। প্রায় শতবর্ষ ধরে মাগুরায় দুর্গাপূজার ঠিক এক মাস পরে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সময়ের ব্যবধান ছাড়া দুর্গা পূজার সঙ্গে এই পূজার আর কোনো পার্থক্য নেই।

এবছর জেলায় মোট ৯১ মণ্ডপে এই পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে পৌর এলাকায় ১৫টি ও অন্যান্য জায়গায় ৭৬টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

আয়োজক কমিটির নেতা যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার (এমপি) জাগো নিউজকে জানান, এবারের পূজায় বিশেষ আকর্ষণ বাহুবলী টু। ছানাবাবুর বটতলায় মূর্তি তৈরি হচ্ছে বাহুবলী টু এর আদলে। যা নির্মাণ করতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। এছাড়া পূজার প্রধান গেট তৈরি করা হচ্ছে ভারতের উত্তর প্রদেশের জগন্নাথদেব মন্দিরের আদলে। এছাড়া পূজা মণ্ডপ তৈরি হবে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মঞ্চের আলোকে।

মাগুরা জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু জাগো নিউজকে জানান, একমাত্র মাগুরা ছাড়া আর কোথাও এত জাকজমকের সঙ্গে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয় না। ৫০'র দশকে মাগুরার ব্যবসায়ী মতিন মাঝি প্রথম এই পূজার সূচনা করেন। পরবর্তীতে সারা শহর এবং জেলায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

পূজা উপলক্ষে মাগুরা পরিণত হয় উৎসব নগরীতে। দৃষ্টি নন্দন তোরণ ও আলোকসজ্জা পূজার ক’দিন মাগুরাকে মাতিয়ে রাখে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল থেকেও অনেক দর্শনার্থী এই পূজা ও মেলা দেখতে ভিড় জমান মাগুরায়। এ কাত্যায়নী উৎসব উপলক্ষে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের ঢল নামে মাগুরায়। মাগুরা পরিণত হয় হাজার হাজার মানুষের মিলন মেলায়।

দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শহরের স্মৃতি সংঘ, বটতলা, সাতদোহা, চঞ্চল বাবার আশ্রম, বৈদ্যবাটি ও বাটিডাঙ্গার মণ্ডপে দৃষ্টিনন্দন গেট ও আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মাগুরা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বিদেশী দর্শনার্থীদের নিরাপত্তাসহ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মাগুরা জেলা পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

আরাফাত হোসেন/এফএ/জেআইএম