ঢাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন শেষে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রলীগের গাড়ি বহরে অপর গ্রুপের লোকজন হামলা চালিয়েছে। ছাত্রলীগের এক পক্ষ অপর পক্ষের গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে ২০ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে। এসময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার কাঁচপুর নয়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠান স্থলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহাগ রনির সমর্থক আলাল মিয়া ও পারভেজ মিয়ার সঙ্গে সোনারগাঁ পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান রবিনের তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার কাচঁপুর নয়াবাড়ি এলাকায় পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান রবিন, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান খান সাজুর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের একটি দল সোহাগ রনির সমর্থকদের গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। এসময় তারা স্বদেশ পরিবহনের দুটি যাত্রীবাহী বাসসহ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর চালায়। এ হামলায় সোহাগ রনির সমর্থক ছাত্রলীগ কর্মী শাহিন, ইমরান, হৃদয়, আলমগীর, রায়হান, আল আমিন, রিয়াদ, রুবেল, আরিফ, শফিকুল, রাজন, তারেক, আরমান ও সোলায়মান, সিহাবসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহাগ রনি জাগো নিউজকে জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রবিন ও সাজুর নেতৃত্বে আমাদের গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের আহত করেছে। মাহবুবুর রহমান রবিন ও শাহরিয়ার হাসান সাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি। তবে রবিন সমর্থকদের দাবি এ হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নন।সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়েছে।সোনারগাঁ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন রশিদ জাগো নিউজকে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।মো.শাহাদাৎ হোসেন/এমজেড/এমএস