একুশে পদকপ্রাপ্ত ষাটের দশকের প্রখ্যাত কবি হায়াৎ সাইফ (সাইফুল ইসলাম খান) রোববার রাত ১২টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র ও অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সকলের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যে মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তার মরদেহ বাংলা একাডেমি চত্বরে রাখা হবে। গুলশানের আজাদ মসজিদে বাদজোহর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মরহুমকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্তানে দাফন করা হবে।
হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে তিনি একমাস উনিশ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হবার পর দীর্ঘসময় অবচেতন থেকে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানেন। ষাট-সত্তর দশকজুড়ে কবি হায়াৎ সাইফ দুই বাংলার উল্লেখযোগ্য সাহিত্য পত্রিকা ও সাময়িকীতে নিয়মিত লেখালেখি করেছেন।
গদ্য ও কবিতায় তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৬, যেগুলোর মধ্যে প্রধানত মাটি ও মানুষ, সন্ত্রাসে সহবাস, এপিঠ ওপিঠ, নিমগ্নতা ও ভালোবাসার কবিতা, রসুন বোনার ইতিকথা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পাস করে তিনি কিছুকাল রাজশাহী কলেজে শিক্ষকতা করে ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সুপিরিয়ার সার্ভিসে যোগদান করেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
একুশে পদক ছাড়াও সাহিত্যকৃতির জন্য তিনি কবিতালাপ সাহিত্য পুরস্কারসহ বিবিধ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি স্কাউট আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন এবং তার অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক স্কাউট সংস্থার ৩০৫তম ‘ব্রোঞ্জ উলফ’ পদক অর্জন করেছিলেন।
বিএ